আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১:২২

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেয়াড়ায় ব্যতিক্রমী আয়োজন

এম আহম্মেদ ( যশোর থেকে) : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সকল শহীদের স্বরনে কোরআন খতম, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও কোরআন শরীফ বিতরণ হয়েছে।

গতকাল (২৫ মার্চ) বিকেলে দেয়াড়া মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে পরিষদ চত্তরে এ অনুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, “মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আল-আমিনের কাছে শুকরিয়া। বঙ্গবন্ধু উদার চেতনার অধিকারী একজন খাঁটি ঈমানদার মুসলমান ছিলেন। তিনি কখনও ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করেননি। বাংলাদেশকে সব ধর্মের মানুষের জন্য শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি সচেষ্ট ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অবদান রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা একই ভাবে ধর্মের কল্যানে কাজ করছেন। আপনারা সবাই মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন, একই সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া চান তিনি।

দেয়াড়া মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইসলামের প্রচার ও প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা ইতিহাসে চিরদিন লেখা থাকবে। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে ৩ বছর এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ইসলামের খেদমতে যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে পৃথিবীতে তার দৃষ্টান্ত বিরল।

বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ধর্মের প্রসারে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় আসীন করেছেন। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসাহী করার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ তার। ইসলামের প্রচার-প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান অনেক। এ সরকার মসজিদ মন্দিরের যে উন্নয়ন করেছে তা কল্পনাতীত। ১০ হাজার কেটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন। করোনাকালীন মসজিদের ঈমাম ও মোয়াজ্জিনদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন এখন সরকারি অর্থে পরিচালিত অন্যতম একটি বৃহৎ সংস্থা হিসেবে বিশ্বনন্দিত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দেয়াড়া মডেল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: মুনছুর আলী, যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদৎ হোসেন, দেয়াড়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপাল সরকার, মতিয়ার রহমান, আতিযার মেম্বার, এবি সিদ্দিকী, কার্তিক চন্দ্র, শহীদুল ইসলাম, নাজিম উদ্দীন, মহিউদ্দীন বিশ্বাস, সিদ্দিকুর রহমান সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত