ঢাকা অফিস : ইয়াবা কেলেঙ্কারিতে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন থেকে সিটকে পড়েছেন কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) সংসদীয় আসনের এমপি আবদুর রহমান বদি। তাকে মনোনয়ন দিলে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে এজন্য কৌশলে এগুচ্ছে আওয়ামী লীগ।
একদিকে বদির ইয়াবা কানেকশন এবং অন্যদিকে এলাকায় প্রবল জনপ্রিয়তা-দুটি বিষয়ই নজরে রেখে আসনটিতে বদির স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
তবে দলের অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বাদ দিয়ে বদীর স্ত্রীকে নৌকার মাঝি করার ঘোষণায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। ভোটারদের মধ্যেও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
তাদের ভাষ্য, বদির স্ত্রীকে নৌকার প্রার্থী করা মানে ‘যে লাউ সেই কদু’। অর্থাৎ বদি আর বৌদিতে পার্থক্য দেখছেন না তারা।
দলীয় সূত্র জানায়, কক্সবাজার-৪ আসনের জন্য দলের ২২ জন নেতা মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তাদের সকলকে বদির (পরোক্ষোভাবে) কৌশলের কাছে হার মানতে হলো।
তাদের মধ্যে জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর বলেন, বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থীকে পরাজিত করতে হলে দলের শক্তিশালী একজন নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া জরুরি ছিল। ইয়াবার অভিযোগে সাংসদ বদিকে দলের মনোনয়ন থেকে বাদ দেওয়ায় মানুষ খুশি। কিন্তু তার স্ত্রীকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এটা হবে যে লাউ সেই কদু।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বদির পরিবর্তে তার স্ত্রীকে মনোনয়ন দেয়া আওয়ামী লীগের কৌশল। বদিকে দেয়া হয়নি ইয়াবা সংশ্লিষ্টতার কারণে। তবে তাদের এই কৌশলটি ইয়াবার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ বলে প্রতিয়মান হচ্ছে না। বরং এই পদক্ষেপে বদির ইয়াবা কানেকশন আরো বেপরোয়া হবে। আরো বেশি লাগাম ছাড়া হবেন বোদি।