নওসাদ জামিল,ঢাকা : শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ানের (৮) দাফন শেষ হয়েছে। বুধবার বাদ আসর জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম জানাজা পড়ান। এর আগে জায়ানের মরদেহ বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি মাঠে আনা হয়। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন জায়ানের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। হাজারও মানুষ অংশ নেয় জানাজায়।আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, শেখ ফজলে নূর তাপস, আকবর খান পাঠান ওরফে ফারুক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ডা. এনামুর রহমান, মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন জানাজায়।এর আগে জায়ানের মরদেহ বহনকারী শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের বিমান ইউএল-১৮৯ ফ্লাইটটি বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের টারমার্কে নাতি জায়ানের মরদেহ গ্রহণ করেন নানা শেখ ফজলুল করিম সেলিম। পরে সেখান থেকে সরাসরি বনানী ৯ নম্বর রোডের বাড়িতে নেয়া হয় জায়ানের মরদেহ।জায়ান চৌধুরী রাজধানীর উত্তরার সানবিমস স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গেল রোববার শ্রীলঙ্কায় সংঘটিত ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় জায়ান চৌধুরী প্রাণ হারান। এছাড়া জায়ানের বাবা মশিউল হক চৌধুরী গুরুতর আহত হয়ে শ্রীলঙ্কার আনশ্রী সেন্ট্রাল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।সম্প্রতি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মেয়ে শেখ সোনিয়া তার স্বামী মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স ও দুই ছেলেকে নিয়ে শ্রীলঙ্কায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। তারা কলম্বোর পাঁচ তারকা হোটেল শাংরি-লায় উঠেছিলেন।গত রোববার শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের প্রার্থনায় তিনটি চার্চ ও তিনটি হোটেলে ধারাবাহিক বোমা হামলায় অন্তত ৩৫৯ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন প্রায় ৫শ জন। এদিন কলম্বোর পাঁচ তারকা হোটেল শাংরি-লায় হোটেলেও বোমা হামলা হয়েছিল। সেসময় মশিউল হক চৌধুরী ও জায়ান চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছিলেন। এ সময়ে ছোট ছেলে জোহানকে নিয়ে হোটেল কক্ষে অবস্থান করছিলেন আমেনা সুলতানা সোনিয়া। তাই তারা প্রাণে বেঁচে যান।