বর ও কনে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে। বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার মধ্যরাতে হবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এ উপলক্ষে আজ দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে এক প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়। তাইতো কনে পক্ষের পক্ষ থেকে দুদিন ধরে যশোরে বেজে চলেছে সানাইয়ের সুর। বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে পুরো প্রেসক্লাব ভবন।
সামিট গ্রুপ ও সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফরিদ খানের মেয়ে ফারহানা খালেদা খানের সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর ছেলে হামদান চৌধুরীর বিয়ে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে। ফরিদ খান যশোর প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য। আর তাই কনে পক্ষের হয়ে যশোর প্রেসক্লাব দুদিন ধরে বিয়ে বাড়ির সাজ নিয়েছে।
যশোর প্রেসক্লাবে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই। সানাইয়ের সুর, রান্নার আয়োজনে আজ সকাল থেকে মুখর হয়ে ওঠে পুরো প্রেসক্লাব। অতিথিদের দাওয়াত দিতে ছাপানো হয় সুদৃশ্য কার্ড। অনুষ্ঠিত এক প্রীতি ভোজে অংশ নেন শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ তিন শতাধিক অতিথি।
এ বিষয়ে যশোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্টের ওয়াশিংটন কতটা দূরে। তবু আজ মনে হচ্ছে অনুষ্ঠানটি যেন এখানেই হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আমরা যেন কতটা কাছে। এ এক অন্য অনুভূতি। যে মেয়ের বিয়ে হচ্ছে, তাঁর বাবা যশোর প্রেসক্লাবের সদস্য। তিনি এই সংগঠনকে নিজের সংগঠন মনে করেন। তাঁর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান। মনে হচ্ছে আমাদেরই কোনো সন্তানের বিয়ের অনুষ্ঠান।’
এ বিষয়ে যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন, ‘মুহাম্মদ ফরিদ খানের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তিনি অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন যে, তিনি যশোর প্রেসক্লাবের সবাইকে আপ্যায়ন করতে চায়। সেই সুবাদে আজ বর্তমান কমিটি তাঁর পক্ষ থেকে এই আয়োজন করে। বর ও কনে রয়েছেন দূরে। সেহেতু এমন আয়োজন সাধারণত হয় না। এমন আয়োজন বাংলাদেশে প্রথম। এ বিবাহকে কেন্দ্র করে যশোর প্রেসক্লাবের সব সদস্যসহ প্রায় ৩০০ অতিথিকে আপ্যায়ন করা হয়েছে।’