খান জাহান আলী 24/7 নিউজ :: যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জঙ্গলবাধাল গ্রামের খালঘাট পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আজিজার রহমানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় পল্লবের লাশ।
নিখোঁজের ২৬ দিন পর পল্লব কান্তি নামে এক কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে একটি মেয়েলী বিষয় কে কেন্দ্র করে পল্লব এবং তার বন্ধুদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। জানা যায় এক কিশোরীকে বন্ধু অপুর্বের নানা বাড়ি নিয়ে রাত কাটায় নিহত পল্লব । এরপর পল্লবের দুই বন্ধু ওই কিশোরীকে চায় । রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে ভিডিও নিয়ে বিরোধের সৃস্টি হয় ।
শনিবার সন্ধ্যায় পল্লবেরই এক বন্ধুর নানা বাড়ির ঘরের মধ্যে থেকে পল্লবের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রাব্বানি জানান, গত ১৪ অক্টোবর (২৬ দিন আগে) পল্লব বাড়ি থেকে বের হয় আর ফেরেনি। থনায় তার (পল্লবের) বাবার করা একটি সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে আমরা পল্লবের মোবাইল ট্রাকিং করি।এর আগে তার (পল্লবের) ব্যাবহৃত মোবাইল থেকে বাড়িতে একটি ম্যাসেজ আসে ‘আমি ফরিদপুর আছি’। কিন্তু পুলিশ ট্রাকিং এর মাধ্যমে বুঝতে পারে যে মোবাইলটি তখন বসুন্দিয়া এলাকায় আছে। পরে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে জগন্নাথপুরের ফারুক হোসেনের ছেলে ঈশান ও জঙ্গলবাধাল গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে অপূর্ব নামে তার দুই বন্ধুকে আটক করে জিঙ্গাসাবাদ করলে তারা পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যায় অপূর্বের নানা বাড়ি সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জঙ্গলবাধাল গ্রামের খালঘাট পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আজিজার রহমানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় পল্লবের লাশ। পুলিশ সুত্রে জানা যায় লাশটি আজিজার রহমানের বাড়ির একটি কক্ষের মধ্যে পুতে রাখা হয়েছিলো।
পুলিশ এর আগেই আজিজার রহমানের বাড়ি থেকে নিহত পল্লবের ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল সেট ঊদ্ধার করে ।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বসুন্দিয়া ফাড়ির আইসি‘র সাথে কথা বললে তিনি জানান, “ইতিমধ্যে আসামীরা গ্রেপ্তার হয়েছে। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদ এবং আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষিদের শ্বাস্তির আওত্তায় আনা হবে।“