খোদ জনপ্রতিনিধির কাছে গরুর পঁচা গোস্ত বিক্রির সময় হাতে-নাতে ধরা পড়েছে বিক্রেতা। ভ্রাম্যমান আদালতে পঁচা গোস্ত বিক্রেতাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তথ্যে জানা গেছে, গতকাল ৩০মে যশোরের বসুন্দিয়া মোড় বাজারের গোস্ত ব্যবসায়ী কওছার আলী’র ‘কওছার মাংস ভান্ডার’ এ বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বসুন্দিয়া মোড় বাজারের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম গোস্ত কিনতে যান। এ সময় দোকানী তাকে পঁচা গোস্ত সরবরাহ করলে তিনি বসুন্দিয়া মোড় বাজার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল আহসান বাবলু’র মাধ্যমে যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখা এবং দোকানের ভিতরে ফ্রিজ ভর্তি ৬০/৭০ কেজি পঁচা গোস্ত উদ্ধার করেন। প্রতিষ্ঠানের মালিক কওছার আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকায় তার মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি পাশের গোস্ত বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এসময় দোকানের কামলা হিসাবে পরিচয় দানকারী পার্শ্ববর্তী জঙ্গলবাঁধাল গ্রামের আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি পঁচা গোস্ত গর্তের মধ্যে ফেলে পুঁড়িয়ে নষ্ট করা হয় এবং ব্যবসায়ী কওছার আলীকে পশু জবাই ও মাংশের মান নিয়ন্ত্রণ আইনে ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, স্থানীয় গোস্ত বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বাচ্চাসহ গরু জবাই ও বিক্রির অভিযোগ থাকলেও পঁচা গোস্ত বিক্রির অভিযোগ এই প্রথম। তবে উল্লেখিত ব্যবসায়ী কওছার আলীর বিরুদ্ধে ক্রেতাদের সাথে খারাপ আচারণ, ওজনে কম দেয়া, গোস্ত না দিয়েও গোস্তের টাকা আদায়ের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।