ক্রসফয়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যসহ দুইজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যশোর সদরের কাজীপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী আলমগীর সিদ্দীক।
আসামিরা হলো, নড়াইল নড়াগাতির কলাবাড়িয়া গ্রামের মৃত সেকেল উদ্দিনের ছেলে ও যশোর সদরের ফতেপুর গ্রামের আমবাগান এলাকার শাহরিয়ার ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড ফার্নিচারের মালিক চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ও কাজীপুর গ্রামের আলাউদ্দিন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রবিউল ইসলাম মুদি দোকানের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আসামি আলাউদ্দিন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। ২০১৭ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে আসামি মোস্তাফিজুর ও আলাউদ্দিন একটি প্রাইভেটকারে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে রবিউলের বাড়িতে যায়। প্রাইভেটকারে সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয়দানকারী আরও দুইজন ছিল। ডাকাডাকির পর রবিউল ইসলাম বাইরে আসলে ওসি স্যার দেখা করতে বলেছে বলে জোর করে তাকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে আসে। এরপর আসামিরা প্রাইভেট কারে রবিউলকে বেশ কিছুসময় ঘুরিয়ে গভীর রাতে মনিহার সিনেমা হলের সামনে নিয়ে যায়। এরপর রবিউল ইসলামের ভাই জসিমের মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোন দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। রাতের মধ্যে টাকা না দিলে রবিউলকে ক্রস ফায়ারে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। রবিউলের ভাইসহ স্বজনেরা নিরুপায় হয়ে ওই রাতে ধার দেনা করে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৫০ টাকা মনিহার সিনেমা হলের সামনে এসে আসামিদের দেয়। আসামিরা রবিউলকে মুক্তি দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিলে খুন করে লাশ গুম করে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হয়নি। পরিবেশ অনুকূলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।