মাশারাফী বিন মোর্ত্তজা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে দেখতে পায় ক্রিকেট বিশ্ব। ভয়ডরহীন খেলা, সতীর্থদের উজ্জীবিত রাখার পাশাপাশি মাশরাফীর হার না মানা মনোবলই এখন বাংলাদেশ দলের প্রতিচ্ছবি। দ্য বিগ হার্টেড মাশরাফীর আজ ৩৫তম জন্মদিন।
ছোটোবেলা থেকেই চঞ্চল বন্ধুবৎসল কৌশিক। ক্রিকেট, সাঁতার, মোটরসাইকেল নিয়ে দূরন্ত কৈশোর কেটেছে নড়াইলে। সেই ছোট্ট কৌশিকই আজ পুরো বাংলাদেশের ভালবাসার নাম- মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
ক্রিকেট তার ধ্যান-জ্ঞান। অবিরাম আনন্দ। বারবার ইনজুরিতেও হেরে যাননি মাশরাফী।
বাংলাদেশ দলে মাশরাফীর আগমন ধুমকেতুর মতো। গতি, অ্যাকুরেসিতে পেস বোলিংয়ে ত্রাস সৃষ্টি করা মাশরাফী হয়ে ওঠে বাংলাদেশের স্বপ্ন। তবে ইনজুরিতে মিস করতে হয় দেশের মাটিতে আয়োজিত ২০১১ বিশ্বকাপ। পণ করে ফিরেছেন নতুন রূপে। দুহাত ভরে দিয়েছেন স্বপ্নেরও অধিক।
দুই হাঁটুতে এতো আঘাত, ধকল আর এতবার অস্ত্রপচার নিয়ে ক্রিকেট খেলার রেকর্ড নেই বিশ্বের আর কোনো বোলারের।
আমাদের বড় সব অর্জনের নায়ক মাশরাফী। তার অধিনায়কত্বে ২০১৫ বিশ্বকাপে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে টাইগাররা। দেশের মাটিতে ভারত, পাকিস্তানের মতো পরাশক্তির বিপক্ষে সিরিজ জয়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনাল এই নতুন বাংলাদেশের কারিগর মাশরাফী।
সতীর্থদের টনিক অধিনায়ক মাশরাফী। তার আবেগ স্পর্শ করে সমর্থকদের। নিজেকে উজার করে খেলার কাছে ক্রিকেটের অশেষ ঋণ। এভাবেই শুধু দেশ নয়, সব ক্রিকেটপ্রেমীর মন জয় করেছেন আমাদের অধিনায়ক।