বাংলাদেশ ডাক বিভাগের জনপ্রিয় ডাকবাক্স গুলো এখন অবহেলিত হয়ে বিলুপ্তির পথে। গ্রাম থেকে শহরে শহর থেকে গ্রামের হাজারো গ্রাহকের মনের বার্তা পেটে ধারণ করে পোস্ট অফিসের সামনে দাড়িয়ে থাকা দৃশ্য এখন বিলুপ্তির পথে। একসময় ডাকপিয়নের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হতো প্রেরকের খবরাখবর। আনন্দ বিনোদন দুঃখ দুর্দশার খবর নিতে এই বাক্সগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতো দূর দুরান্তের স্বজনেরা।
কালের বিবর্তনে এসব হারিয়ে যাচ্ছে দেখা মিলেনা সেই পোস্ট অফিসের পিয়নদের। জনপ্রিয় বাক্সগুলোর ঠাই হয়েছে ডাকঘরের আনাচে কানাচে। ডাক পিয়নেরা ব্যাগ ভর্তি চিঠি নিয়ে গ্রামের হাট বাজার ও পল্লী অঞ্চলের বাড়ী বাড়ী গিয়ে চিঠি চিঠি দিয়ে আসতো প্রাপকের হাতে। সেই সময়ের যোগাযোগ মধ্যম ছিল একমাত্র ডাকবিভাগ বাবা মা আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করতে হলে চিঠি লিখে পাঠানো হতো। একস্থান থেকে অন্যস্থানে পৌঁছাতে দুর্যোগ এবং পরিবহন সংকটের কারণে দুদিন তিনদিন এমনকি পনেরদিন পর্যন্ত দেরীতে চিঠি হাতে পাওয়া যেত। ততক্ষনে মৃত ব্যাক্তির দাফন অসুস্থ ব্যাক্তির মৃত্যু হৃদয় বিদারক ঘটনা চিঠির মাধ্যমে জেনে আফসোস করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলনা। জনৈক এক ডাক বিভাগের পিয়নের সাথে কথা হলে তিনি বলেন এখন আর সাধারণ মানুষের চিঠিপত্র আগের মত পাওয়া যায় না শুধুমাত্র সরকারি দপ্তরের রেজিষ্ট্রেশনকৃত চিঠি মাসে ৪/৫টা পাওয়া যায়। সরকার তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল সেবার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে। এখন মানুষ প্রতি মুহূর্তের খবরাখবর অডিও ভিডিও সরাসরি শুনতে ও দেখতে পায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।