শার্শার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন পরবর্তি বোমা হামলা ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুলসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় আরো অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার বাগআঁচড়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের ছেলে মোহাম্মদ বিশ্বাস আদালতে মামলাটি করেছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে শার্শার থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন, বাগআঁচড়া গ্রামের ঘোষপাড়ার মৃত সিদ্দিক হোসেনের ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল, মৃত ইয়াসিন বিশ্বাসের ছেলে নাজমুল হাসান, মৃত কদম আলী সরদারের ছেলে ওয়াচেদ আলী, মৃত কিছমত আলীর ছেলে সাখাওয়াত হোসেন,

মৃত নুরী মোন্ডলের ছেলে আবু তালেব, রিজাউল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান, মৃত ধান্দার মোল্যার ছেলে ইউনুচ আলী, মৃত সামাদ মিজীর ছেলে আনার মিজী, আতিয়ার গাজীর ছেলে সজীব, মৃত শুকুর আলীর ছেলে মাসুদ, শামছুর মোড়লের ছেলে উসমান আলী ফাটা, সিরাজুল ইসলামের ছেলে রানা,

ইউনুচ আলীর জামাই খায়রুল ইসলাম, বাবু বিশ্বাসের ছেলে সাছুম, ওয়াজেদ আলীর সরদারের ছেলে জাকির, সুলতান গার্ডের ছেলে বিপ্লব, রবিউল সরদারের ছেলে সোহরাব, একাব্বর মন্ডলের ছলে খায়রুল আলম দুষ্টু, মোক্তার আলীর ছেলে সুজন, নজরুল ইসলামের জামাই আল আমিন খান, আবু তালেবের ছেলে ইকবার, মৃত রমজান মোড়লের ছেলে আলমগীর কবির, আব্দারের ছেলে মানিক,

মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে সেলিম রেজা, আব্দুল সরদারের ছেলে মুকুল, অমতলা বাগআঁচড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মনিরুজ্জামান, টেংরা গ্রামের হামিদ ফকিরের ছেলে রিজাউল ফকির, পিঁড়াগাছি গ্রামের মৃত রাজ্জাক মোড়লের ছেলে রিয়াজ পারভেজ টিটু ও সোনাতনকাঠি গ্রামের শেখ ইউসুফ আলীর ছেলে আক্তার মাস্টার।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ইলিয়াস কবির বকুল বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। অন্যান্য আসামিরা তার সহযোগী সন্ত্রাসী। মামলার বাাদ মোহাম্মদ বিশ্বাস নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের সমর্থক।

গত ৯ জানুয়ারি নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক শপথ নেয়ার পর মোহাম্মদ বিশ্বাসসহ অন্যরা সন্ধ্যায় বাগআঁচড়া বাজারে আনন্দ উল্লাসসহ মিষ্টি বিতরণ করেন। ইলিয়াস কবির বকুলসহ তার সমর্থদের কাছে পৌঁছালে তারা হাই স্কুল মার্কেটের দ্বিতীয়তলার অফিসে সমবেত হন। মিষ্টি বিতরণ শেষে সাড়ে ৭টার দিকে মোহাম্মদ বিশ্বাসসহ অন্যরা মার্কেটের সামনে দিয়ে আসার সময় ইলিয়াস কবির বকুলের অফিস থেকে পরপর চারটি বোমা নিক্ষেপ ও শর্টগান দিয়ে দুই রাউন্ড গুলি করা হয়।

বোমার আঘাতে মোহাম্মদ বিশ্বাস, টুটুল, কামরুজ্জামান, কামরুল মেম্বর, ইউনুচসহ বেশ কয়েকজন জখম হন। এ ছাড়াও আসামিরা কয়েকজনকে পিটিয়ে জখম করেন। আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত টুটুলের একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসা শেষে মোহাম্মদ বিশ্বাস শার্শা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ মামলা না নেয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেন।