বাগেরহাটে শ্রমিক দল নেতার ভাই ও তাঁর লোকজন এক যুবদল নেতার দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে শহরের বাসাবাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত মো. জসিম উদ্দিন পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি। তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে খুলনা এবং সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। অভিযুক্ত আজিম ভূঁইয়া স্থানীয় শ্রমিক দলের নেতা সেলিম ভূঁইয়ার ভাই।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় আজিম ও তাঁর লোকজন শহরের নাগের বাজার এলাকায় জসিমের প্রতিবেশী আজিম খান নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করেন। রাতে জসিম এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে আজিম ও তাঁর লোকজন হামলা করেন। প্রাণ বাঁচাতে জসিম স্থানীয় মজিদ কসাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। কিন্তু হামলাকারীরা ওই বাড়ির ফটক ও কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে জসিমকে বেধড়ক মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান।
জসিমের মামাতো ভাই সাইফুল ইসলাম পিঞ্জুর বলেন, ‘শুধু মারধরের কারণ জানতে চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আজিম ভূঁইয়া ও তাঁর লোকজন জসিমকে কুপিয়েছেন। তাঁদের হাত থেকে বাঁচার জন্য মজিদ কসাইয়ের ঘরের মধ্যে পালিয়েও জসিম রক্ষা পাননি। তাঁর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। আমরা খুলনা থেকে তাঁকে ঢাকার হাসপাতালে নিয়ে আসছি। এর আগে জসিমের ভাগনে রাব্বিকে মারধর ও তাঁর মোটরসাইকেল নিয়ে গিয়েছিল আজিম ভূঁইয়া। সেই মোটরসাইকেল এখনো ফেরত দেননি।’
মারধরের শিকার আজিম খানের স্ত্রী নাদিরা বেগম বলেন, ‘আজিম ভূঁইয়া ও তাঁর লোকজন আগেও আমাদের বাড়িতে এসে হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। বুধবার আমার স্বামীকে মেরেছেন। মারধরের কারণ জানতে চাওয়ায় জসিম কাকাকে মেরেছেন তাঁরা। আজিম ভূঁইয়ার সঙ্গে কয়েল ফারুক, মাসুদ, মুরাদ, অভি, শাওনসহ ১৫-১৬ জন ছিলেন। আমরা এর বিচার চাই।’
এ ঘটনায় আজিম ভূঁইয়ার বিচারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট শহররক্ষা বাঁধ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা। তাঁরা আধা ঘণ্টা মাছবাজার বন্ধ রাখেন। ব্যবসায়ী মো. ওসমান বলেন, ‘জসিমকে মারধর করার পর আজিম ভূঁইয়া ও তার লোকজন এসে মাছ ব্যবসায়ী কুটুকে মারধর করেছেন। এর আগে গরুর গোশত ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম ও আমাদের এক মাছ ব্যবসায়ীকে মারধর করেছেন। আমরা বিচার চাই।’
এ বিষয়ে বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উল হাসান বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।