বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর সরদারের সেই বিতর্কিত মোনাজাতের বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে দতন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় যশোরের জেলা প্রশাসককে এ তদন্তের ভার দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত ২১ আগষ্ট বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের (এমপি গ্রুপ) আয়োজনে শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে দোয় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঐ ইউনিয় আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান সরদার। দোয়া করার সময় তিনি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের হত্যাকারিদের বেহস্ত কামনা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে দোয়া অনুষ্ঠানের এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে।
বির্তকীত এ মোনাজাত আওয়ামীলীগের অপর গ্রুপের নেতা কর্মীদের কাছে হট কেক মনে হয়। এ গ্রুপের প্রধান বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী বির্তকীত এ মোতাজাতের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমানের শাস্তি দাবি করে ১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। দাখিলকৃত ঐ অভিযোগে বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের আরো দশজন নেতা স্বাক্ষর করেন। উক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত একটি পত্র দিয়েছেন যশোরের জেলা প্রশাসককে। পত্রে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে মন্ত্রনালয়কে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমারা ১০ দিন অপেক্ষা করেছি আমিনুর রহমান সরদার যে বিতর্কীত ও আপত্তিকর মোনাজাত করেছেন তার জন্য কোন আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চান কিনা। তিনি সেটা না করে বরং বিভিন্ন স্থানে বলে বেড়িয়েছেন যা বলেছি তা বলেছি, কিসের ক্ষমা চাওয়া চাওয়ি। এমনকি ২১ আগষ্ঠের ঐ অনুষ্ঠানে র্শীষ যে নেতারা ছিলেন তারাও এ বিষয়ে ভুল স্বীকার করেননি। বরং তারা আরো হেসে বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন।
তবে জেলা প্রশাসকের দপ্তর এ বিষয়ে কোন চিঠি পেয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি।