অভয়নগরে যাত্রীবাহী গড়াই বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারিয়েছেন মোটরসাইকেল চালক। গড়াই এক্সপ্রেস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে মসজিদে আঘাত করায় ১০ জন বাসযাত্রী আহত হন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার যশোর-খুলনা মহাসড়কের চেঙ্গুটিয়ার বাবলাতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুকদেব দাস (৪৬) উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামের শুভদর দাসের ছেলে। তিনি পেশায় একজন গাড়ির টায়ার ব্যবসায়ী ছিলেন।

এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, যশোরের শংকরপুর এলাকার রিনা বেগম (৪৫), রুপদিয়া এলাকার তুরাব আলী (৬৫) ও বাসের হেলপার ঝিনাইদহের খাজুরা এলাকার নাসিম হোসেন।

নিহত সুকদেবের রড় ভাই উত্তম দাস বলেন, সকালে বাড়ি থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বের হয়ে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তার শ্রাবনী দাস (১৪), প্রিয়ন্তি দাস (৯) ও অবন্তি দাস (১) নামের তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গোপালগঞ্চ এলাকার ভাটিয়াপাড়ায় অবস্থিত। তার পরিবারসহ সেখানে ভাড়া বাসা নিয়ে থাকতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর ২ট ৩০ মিনিটের দিকে যশোর-খুলনা মহাসড়কের চেঙ্গুটিয়া বাবলাতলা নামক স্থানে কুষ্টিয়া থেকে খুলনাগামী গড়াই পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে বাবলাতলা জামে মসজিদে আঘাত করে। এ সময় সামনে থাকা একটি মোরসাইকেলে বাসটি ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল চালক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার মোটরসাইকেলটি ধুমড়ে মুচড়ে যায়। আর গাড়িতে থাকা ১০জন বাসযাত্রী আহত হন। ফায়ার সার্ভিস, হাইওয়ে ও থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও মোটরসাইকেল হেফাজতে নেয়। স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান সবুজ বলেন, সুকদেব নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, যাত্রীবাহী গড়াই বাসের সঙ্গে দূর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল চালক সুকদেব ঘটনা স্থানে নিহত হন। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।