আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৮:২৬

বাড়ি থেকে ধরে এনে শিক্ষার্থীকে পেটালেন মাদ্রাসা শিক্ষক

বরগুনায় আলিম (১২) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষক মারুফ হোসেনের (৩০) বিরুদ্ধে। আহত শিশুকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বরগুনা সদর উপজেলার পশ্চিম হেউলিবুনিয়া মৃধা বাড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মো. মারুফ হোসেন তালতলী উপজেলার আবদুল খালেকের ছেলে।

জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম হেউলিবুনিয়া মৃধা বাড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ১২ বছরের শিশু আলিম। শুক্রবার সকালে আলিম শিক্ষকদের না জানিয়ে বাড়িতে যাওয়ায় শিক্ষক মারুফ হোসেন আলিমকে দুপুরে বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় ধরে নিয়ে আসেন। মাদ্রাসায় আনার পরপরই তিনি আলিমকে বেত্রাঘাতসহ বেধড়ক মারধর শুরু করেন। মারধরের একপর্যায়ে আলিম অসুস্থ হয়ে পড়লে খবর পেয়ে অভিভাবকরা তাকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। 

বরগুনা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাজহারুল ইসলাম জানান, শিশুটির শরীর জুড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

আহত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাবা ফরিদ হাওলাদার বলেন, আমি গরিব মানুষ, রিকশা চালিয়ে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা করাই। আমার ছেলেকে হাফেজ বানানোর জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছি। তাকেতো মেরে ফেলার জন্য দেইনি। আমার ছেলের সারা শরীরে বেত্রাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাথি দিয়েছে, পা দিয়ে গলা চেপে ধরেছে, কান ফেটে রক্ত পড়েছে। এভাবে কোনও শিক্ষক কোনও ছাত্রকে মারতে পারে না। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করবো। 

ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত শিক্ষক মারুফ হোসেন মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

মাদ্রাসাটির সহকারী শিক্ষক মো. জাবের জানান, কাজটি ঠিক হয়নি। তিনি বিষয়টা বুঝতে পারেননি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। 

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাজা মিয়া বলেন, এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে প্রত্যাহার করা হবে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন একাধিক অভিযোগ রয়েছে। 

বরগুনা সদর থানার ওসি কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও আভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত