স্টাফ রিপোর্টার : খুলনার ৬টি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতাদের সাক্ষাতকার গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। দুপুর ৩টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়। নির্ধারিত কক্ষে ২২ নেতাকে একসঙ্গে নিয়ে কথা বলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় কাউকে পৃথকভাবে কারো বক্তব্য শোনা বা কারও উদ্দেশ্যে কিছু বলা হয়নি। সবই হয়েছে সম্মিলিতভাবে।
বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, সোয়া ৩টার দিকে খুলনা মহানগর ও জেলার ২২ নেতাকে নির্ধারিত একসাথে প্রবেশ করেন। সেখানে স্থায়ী কমিটির সদস্য ছাড়াও স্কাইপিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সংযুক্ত ছিলেন। শুরুতেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২২ নেতাকে তারেক রহমানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর ১৬ মিনিট বক্তব্য দেন তারেক রহমান। সেখানে দেশের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, খালেদা জিয়া এক সময়ে দেশনেত্রী ছিলেন, তিনি এখন সবার মা। মাকে মুক্ত করে ঐক্যবদ্ধ থেকে সবাইকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। এরপর স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
দুই নেতার বক্তব্যের সারমর্ম হচ্ছে, অতীত রাজনীতি ও বর্তমান রাজপথে ভূমিকার কথা মাথায় রেখে মনোনয়ন দেয়া হবে। যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। ৩টা ৫০ মিনিটে সবাই একসাথে বের হয়ে আসেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা-১ আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান, খুলনা-২ আসনে নগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জেলা বিএনপি সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও শফিকুল আলম তুহিন, খুলনা-৩ আসনে কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, ফখরুল আলম, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, কাজী জাহিদুল কবির অমল এবং রকিবুল ইসলাম বকুল,
খুলনা-৪ আসনে আজিজুর বারী হেলাল ও শাহ কামাল তাজ, খুলনা-৫ আসনে নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মামুন রহমান, ডা. গাজী আবদুল হক, খান আলী মুনসুর ও মোল্লা মফিজুর রহমান, খুলনা-৬ আসনের শফিকুল আলম মনা, মনিরুজ্জামান মন্টু, রফিকুল ইসলাম, অ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, শামসুল আলম পিন্টু, ডা. আবদুল মজিদ।