আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো থাকুক তারা (বিএনপি) চায় না, এজন্য তারা উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্থ করতে চায়। এরা চায় দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকার পতন ঘটাতে।’
হানিফ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়স্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে দুইদিনব্যাপী বৈঠকের শেষ দিনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার পতন ঘটাতে পারলেই পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশের ক্ষমতা দখল করবে, এটা বিএনপির মূল উদ্দেশ্য। তারা জানে জনগণের ভোটে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ বিএনপি দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত। তাই তারা জনগণের ভোট আশা করে না।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লোকজন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সৈনিক ছিল তাই শুধু নয়, এখনও তারা পাকিস্তানের ভাবধারায় কাজ করে যাচ্ছে। এই কারণে শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রগতি বিএনপির পছন্দ হয় না।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, গ্রামাঞ্চলে একটা কথা আছে, এক কান কাটলে রাস্তার পাশ দিয়ে যায়,আর দুই কান কাটলে যায় বাড়ির ওপর দিয়ে। বিএনপি নেতাদের অবস্থা হচ্ছে সেই রকম। তারা হচ্ছে দুই কানকাটা নেতা, তাদের কোনো লজ্জা শরম নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির নেতারা বলেছেন যে, এ চোর ও চোর। কাউকে চোর বলার আগে নিজেদের চেহারাটা আয়নায় একবার দেখুন, আপনাদের মধ্যে চোরের প্রতিচ্ছবি দেখা যায় কি না। কারণ, আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে এতিমের টাকা চুরির দায়ে জেলে যেতে হয়েছে। তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়া ও মহানুভবতায় বাসায় থাকার সুযোগ পেয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে থাকতে হবে। নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত হয়ে আরও শক্তিশালী হতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করতে মাঠে নামতে পারবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দীন আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম পাটোয়ারী দুলাল, চাঁদপুর- ৪ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুল প্রমুখ।