বিয়ে বাড়িতে উপহার বন্ধের দাবিতে গণসমাবেশ, শোভাযাত্রা ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে ‘চির সবুজ সোসাইটি অব বাংলাদেশ’ নামে একটি সমাজ সংস্কারমূলক সংগঠন।
শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাবুরহাট বাজারের সিএস কমপ্লেক্সের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নূরে আলম সিদ্দিকী মুকুল।
পরে গণসমাবেশে নূরে আলম সিদ্দিকী মুকুল বলেন, আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি বিয়ের অনুষ্ঠানে উপহার গ্রহণের জন্য পূর্ব থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে টেবিল বসিয়ে রাখা হয়। অনেকে অতিমাত্রায় এবং উচ্চ হারে নগদ টাকা কিংবা লোভনীয় উপহারের আশায় নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে দাওয়াত কার্ড দেন। অথচ কাছের আত্মীয় হওয়ার পরেও আর্থিকভাবে দুর্বল, এমন অনেকে দাওয়াত পান না। আমরা এই সামাজিক বৈষম্যের অবসান চাই। তবে গরিব অভিভাবকের জন্য উপহারের প্রয়োজন আছে। এতে কেউ যদি সহযোগিতা করতে চান সেটা খাতায় লিখে সবাইকে দেখিয়ে দিতে হবে কেন?
গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট বশির পারভেজ, জেনারেল সেক্রেটারি মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মমিন খান, যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শাহআলম প্রধানীয়া, আল মামুন মৃধা, মানিক কাজী, সোহেল কাজী ও জাকির খান প্রমুখ।
এ সময় তারা বলেন, সামর্থ্য অনুযায়ী বিয়ে বাড়িতে আয়োজক পক্ষের আয়োজন করা উচিত। সামর্থ্য না থাকলে বেশি মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার দরকার নেই। অনুরোধ করে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে টেবিল বসিয়ে কৌশলে টাকা আদায়ের মানসিকতা বর্জন করতে হবে। ৫০০ টাকার খাবার খাইয়ে দুই হাজার টাকা আদায় একটি নীরব চাঁদাবাজি ও জঘন্য হোটেল ব্যবসার সামিল।
এদিকে গণসমাবেশ, শোভাযাত্রা শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে গণস্বাক্ষর আদায়ের কর্মসূচি পালন করা হয়। অন্যদিকে সংগঠনটি তাদের এই আন্দোলন থেকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করেন। তারা বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় কমিটি গঠন করে এই অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হবে। যারা আমাদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে এই অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চান। চাইলে তারাও যোগাযোগ করতে পারেন।