নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পেছনে ছুটছে পুরো বিশ্ব। এরই মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সেটি আবিষ্কারের দাবি করেছে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।
সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভ্যাকসিনটি প্রাথমিক এনিমেল ট্রায়ালে এন্টিবডি তৈরি করতে পেরেছে। ভ্যকাসিনের বর্তমান এই অবস্থাকে বড় অগ্রগতি বলেও মনে করছে তারা। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এ পর্যায়ে ভ্যাকসিনটি দ্বিতীয় ধাপে এনিমেল মডেলে ট্রায়াল করা হবে।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, এখন এই টিকাটির সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিরীক্ষার লক্ষ্যে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে কাজ করে যাচ্ছি। এই পরীক্ষায় সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
এজন্য ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপরই এটি মানব শরীরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাওয়া যাবে। ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর ভ্যাকসিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাওয়ার জন্য কোম্পানিটি সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাইবে। অনুমতি পেলে তারা ট্রায়ালে যাবে।
বিষয়টি নিয়ে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড বুধবার একটি বিবৃতিও দেয়। এতে বলা হয়, এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেজ অনুযায়ী মঙ্গলবার (৩০ জুন) পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৫ হাজার ৭৪৩টি সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স জমা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জমা হয়েছে ৭৬টি।
উক্ত সিকোয়েন্স বায়োইনফরম্যাটিক্স টুলের মাধ্যমে পরীক্ষা করে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড তাদের টিকার টার্গেট নিশ্চিত করে। যা যৌক্তিকভাবে এই ভৌগোলিক অঞ্চলে অধিকতর কার্যকরী হবে বলে আশা করছেন তারা। মহামারি করোনা ভাইরাস ছয় মাস পার করেছে।
কভিড-১৯ মহামারীর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, নেদারল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া সহ কয়েকটি দেশের অনেকগুলো ভ্যাকসিনের মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। তবে কোনোটিই এখনও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অনুমতি পায়নি।