নীলফামারী জলঢাকা উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। শীতকে উপেক্ষা করে চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদ পুরোদমে শুরু করেছে তারা। পৌর এলাকাসহ উপজেলার সর্বত্র চলছে বোরো ধান আবাদের উৎসবের আমেজ। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় পৌর এলাকায় সহ উপজেলার, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, বালাগ্রাম, শৌলমারী, কৈমারী, খুটামারা, মীরগঞ্জ, ধর্মপাল, কাঁঠালি ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষকেরা শীতকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত জমিতে কৃষকদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। কেউ জমিতে পানি সেচ, কেউ হালচাষ, কেউ সার প্রয়োগ, বীজ উঠানো ও প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণে এক প্রকার দিনভর ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তবে উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ করছেন অনেকে আবার ইতোমধ্যেই বোরো ধান রোপনের কাজ সমাপ্ত করেছেন অনেক কৃষক। তবে বোরো চাষ আবাদে শ্রমিক সংকট থাকায় মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতি বিঘা বোরো ধান বীজ তলা থেকে রোপন করা পর্যন্ত শ্রমিকদের মজুরি দিতে হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এছাড়া এদিকে বেশ কয়েক দিন ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত থাকায় বীজ তলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় চিন্তিত হয়ে পড়েন উপজেলার স্থানীয় অনেক কৃষকরা। তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আক্রান্ত বীজতলা রক্ষায় সার্বিকভাবে পরামর্শ দেওয়ায় তেমন কোনো বীজ এর ক্ষতি হয়নি। এছাড়া উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ শুরু হওয়ার আগে পানি ছেড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি ছাড়ায় এখন ক্যানেলের ক্যানায় ক্যানায় পানিতে ভরপুর। আর বোরো মৌসুমে পানি ছাড়ায় বেশ আনন্দিত কৃষকেরা। উপজেলার ক্যানেল ও নালা সমুহের গেট খুলে দেওয়ায় ফসলের জমিতে প্রবেশ করছে পানি।এভাবে পানি ভরপুর থাকলে এবার বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা।জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ এর সাথে দৈনিক খবরপত্রের একান্ত সাক্ষাৎকার হলে তিনি জানান, এবার উপজেলায় ১৪ হাজার ৬শত ৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। এছাড়া সরকারি ও প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলা ও পৌরসভা সহ ১১টি ইউনিয়নে হাইব্রিড-৩৪৫০ জন এবং উফসি-৩৪৫০ জন কৃষক পরিবারকে ধানের বীজসহ সার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আমরা কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছি। আমাদের লোকজন সব সময় কৃষকদের পাশে আছে।