আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ১০:৫০

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব

ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে দেশটির সঙ্গে স্থল সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও আটদিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে।

এদিকে বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের ২৪ পরগনায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়েছে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৫ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।

ফলে সীমান্ত দিয়ে বন্ধ রয়েছে যাত্রী চলাচল। বাণিজ্যের স্বার্থে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি চালু রয়েছে। তারপরও কমে যাচ্ছে আমদানি-রফতানির সংখ্যা। ফলে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানিতে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু করোনার কারণে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় বাণিজ্য কমে আসছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন সাড়ে ৪০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি এবং ১৫০ ট্রাক পণ্য ভারতে রফতানি হতো। বর্তমানে বাণিজ্যের পরিমাণ কমেছে।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কার্তিক চন্দ্র বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় ১৫ দিনের লকডাউন চলছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ট্রেন-বাস, অফিস বন্ধ রয়েছে। ফলে পণ্য সরবরাহ কমায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বিঘ্ন হচ্ছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ভারতের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যে সরকারের নির্দেশনায় বন্দরে আমদানি-রফতানি সচল রয়েছে। তবে পরিমাণের দিক দিয়ে বাণিজ্য কমেছে।

আরো সংবাদ