আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১২:৪৫

ভেকুটিয়ার মাদক সম্রাট শহীদের সেকেন্ড ইন কমান্ড তরিকুল সহ আটক ২।

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় শনিবার রাতে পৃথক অভিযানে ৪৮ বোতল ফেনসিডিলসহ দুইজনকে আটক করেছে চৌগাছা থানা পুলিশ। এদের মধ্যে যশোর শহরতলীর ভেকুটিয়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে  তরিকুলকে (৩০)  ১৩ বোতল ফেনসিডিলসহ উপজেলার নগরবর্ণী থেকে আটক হয়। এবং চৌগাছা স্বরুপদাহ ইউনিয়নের চুটারহুদা গ্রামের সেলিমকে (৩৫)  উপজেলার দেবলয় গ্রাম থেকে ৩৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে। পুলিশ বলছে তারা দু’জনই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক পাচার করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে।

চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজিব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোববার তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদলতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান , বালিয়া ভেকুটিয়া বাজারের শহীদ মোড়ে মাদক স¤্রাট শহীদুজ্জামান শহীদের নিজ বাসভবনের নিচতলার একটি মুদি দোকান পরিচালনা করত তরিকুল । যার মালিক শহীদ নিজেই । স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান , তরিকুলের কার্যত কোন মুদি ব্যবসা ছিলনা। মুদি দোকানের আড়ালে সন্ধ্যা ঘনালে বিভিন্ন ব্রান্ডের গাড়ী ও মটর বাইক ভীড় করে তরিকুলের দোকানে। তারা কিছুক্ষণ দোকানে অবস্থান করে শহীদের বাসার গলি আবার কেউ কেউ ছাদে চলে যেতেন । তবে কী কারণে তারা ছাদে অবস্থান করেন সে বিষয়টি স্পষ্ঠ হয় রাসেল হত্যার পর । শহীদের ছাদের উপর মাদক সেবন দেখে ফেলে ভেকুটিয়া শ্মশানপাড়ার আবু সালেক মৃধার ছেলে রাসেল (২৬)। এই মাদকের বিরোধিতা করাতে রাসেল কে কুপিয়ে হত্যা করে শহীদ।
মাস দেড়েক আগে দেয়াড়া ইউনিয়নের চান্দুটিয়া ব্রিজের উপর থেকে মাদকের চালান আনার সময় ২০০ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক হয় তরিকুল সে সময় পালিয়ে যায় তার অপর দুই সহযোগি শামিরুল ও পিচ্চি বাবু । পরে মাদক স¤্রাট শহীদ ও একজন সংসদ সদস্যের তদবীরে জামিনে মুক্তিও পায় তরিকুল। এবং মাস ছয়েক আগে মঠবাড়িয়া দিয়ে ১০০ বোতল ফেন্সিডিল আনার সময় স্থানীয় মুসল্লিদের হাতে ধরা পড়ে তরিকুল ,শামিরুল ও পিচ্চি বাবু । সে সময় তাদের ব্যবহৃত মটর সাইকেল ও ১০০ বোতল ফেন্সিডিল ফেলে পালিয়ে যায় তাঁরা পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পরিত্যক্ত অবস্থায় তরিকুলের মটর সাইকেল ও ১০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
স্থানীয় নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, সর্বশেষ ১৫ এপ্রিল অর্থাৎ রাসেল হত্যার আগের রাতে শহীদ মোড়ে মাদক স¤্রাট শহীদের ঘরে হাঁস রান্না করে পার্টির আয়োজন করে তরিকুল ,শামিরুল ও পিচ্চি বাবুরা । সেদিন ৬ কেজি গাঁজার একটি বড় চালান শহীদের বড়িতে আসে । পরদিন ১৬ এপ্রিল রাসেলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় । হত্যাকান্ডের পর লাপাত্তা হয়ে যায় মাদক স¤্রাট শহীদ শামিরুল পিচ্চি বাবু সহ অন্যান্য আসামিরা । মাদকের ঐ চালানটি তরিকুলের জিম্মায় রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের । এছাড়াও শহীদের অবর্তমানে মাদকের সিন্ডিটে টি নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল তরিকুল ।

এদিকে তরিকুল গ্রেপ্তার হওয়ার পর এলাকার কিছু কিছু স্থানে মিষ্টি বিতরণ করেছেন এলাকাবাসী । একই সাথে চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজিব কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আরো সংবাদ