আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৪:৫৮

ভেকুটিয়ায় রাসেল হত্যা: পিচ্চি বাবুর আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি।

স্টাফ রিপোর্টার।। যশোর জেলা বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ নেতা রাসেলকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে মামলার অন্যতম আসামি মাহাবুবুর রহমান ওরফে পিচ্চি বাবু। আসামি পিচ্চি বাবু সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১৯ জনে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। বুধবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান তার জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে পিচ্চি বাবু বলেছেন, গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে রাসেলদের বাড়ির সামনে স্থানীয় মহিলা মেম্বরসহ বেশ কয়েকজন এলাকায় ত্রাণ দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা ও তালিকা তৈরী করছিল। এমন সময় সামিরুল, পিচ্চি বাবুসহ চারজন দুইটি মোটরসাইকেলে বেপরোয়াগতিতে চলে যায়। এ সময় রাসেল মোটরসাইকেল দ্রতগতিতে চালানোর প্রতিবাদ করে। সামিরুল, পিচ্চি বাবুসহ তারা চারজন মোটরসাইকেল থামিয়ে কথাকাটাকাটি শুরু করে। এক পর্যায়ে রাসেলের পিতা ও মহিলা মেম্বর এসে তাদের থামিয়ে দেয়। চলে যাওয়ায় সময় সামিরুল তাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। রাতে পিচ্চি বাবু সহ তার সহযোগীরা রাসেলকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা সবাই পালিয়ে যে যার মত বিভিন্নস্থানে চলে যায়। গত ১৫ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে বালিয়া ভেকুটিয়া শ্মশানপাড়ার রবিউল ইসলাম বাবুর মুদি দোকানের সামনে রাসেলসহ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকর্মী করোনায় অসহায়দের জন্য ত্রান দেয়ার তালিকা করছিল। এসময় সামিরুল, পিচ্চি বাবুসহ কয়েকজন বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাইয়া আসে। তাদের আস্তে মোটরসাইকেল চালানোর কথা বলায় রাসেলকে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সকল আসামিরা ধারালো অস্ত্রসহ বাড়ির সামনে থেকে রাসেলকে জোর করে ধরে নিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এসময় তার ভাই আলামিন ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা ছালেক মৃধা বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে পরদিন ওমর আলী, ইমদাদুল হক এমএ, রিজাউল ইসলাম ও সাগরসহ চারজনকে আটক করে। এর মধ্যে সাগর হত্যার কথা স্বীকার করে ওইদিনই আদালতে জবানবন্দি দেয়। বাকি তিনকে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। এরপরে আবার এই মামলার আরেক আসামি শাহিন আলমকে আটকের পর ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সর্বশেষ মঙ্গলবার এই মামলার আরেক আসামি পিচ্চি বাবুকে আটক করে। এ পর্যন্ত এই মামলার ছয় জন আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।

আরো সংবাদ