আজ - বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১০:৫৩

ভেজাল খাদ্যের বিষক্রিয়ায় গাজীপুরে দুই শিশুর মৃ*ত্যু

গাজীপুরের একটি বেকারির দোকান থেকে কেনা কেক ও প্যাটিস খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরেক শিশু অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মৃত আশামনি (৬) ও আলিফা আক্তার (১) মহানগরের সালনা ইপসা গেট এলাকার আশরাফুল ইসলামের মেয়ে। আশরাফুল ইসলাম স্থানীয় এরশাদের বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানদেরকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।

চিকিৎসাধীন শিশু সিয়াম (৬ মাস) হিরা মিয়ার ছেলে। সে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেও ওই একই বাড়িতে ভাড়ায় থাকে।

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুর সালনা ইপসা গেট এলাকার একটি দোকান থেকে কেনা খাবারের বিষক্রিয়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান শিশু দুটির বাবা।
মৃত শিশুদের মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, মৃত অবস্থায় শিশু দুটিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় দুটি শিশুর মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা ঠিক হবে না। সিয়াম আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।
মৃতদের বাবা আশরাফুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইপসা) গেট এলাকায় একটি দোকান থেকে কেনা প্যাটিস এবং কেক তারাসহ আমিও খাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে শিশু তিনটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদেরকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার দুই মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন। সিয়ামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আমার কোনও সমস্যা হয়নি।
গাজীপুর সদর থানার ওসি জিয়াউল ইসলাম বলেন, এখনও হাসপাতালে আছি। আমরা বিষয়টি এখনও ট্রেস করতে পারছি না। শিশুদের সঙ্গে তাদের বাবা কেক ও প্যাটিস খেয়েছে। বাবার কোনও সমস্যা হয়নি, শিশুদের কেন হলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা বের করতে কিছু সময় লাগবে।
দেশের অধিকাংশ স্থানে
কাপড়ে ব্যবহৃত রং, কৃত্রিম ফ্লেভার, ঘনচিনি ও স্যাকারিনের দ্রবণ মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের জুস এবং জেলিসহ ভেজাল খাদ্যপণ্য। আর এসব পণ্যের প্রধান ভোক্তা হচ্ছে শিশুরা। এতে তারা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।
মূলত ঢাকার বস্তি এলাকা বা বাইরের শহরগুলোতে বিক্রির জন্য এ ধরণের ভেজাল পণ্য উৎপাদন করা হয়। আর মূলত শিশুরা এগুলোর ভোক্তা। প্রায়ই এরকম কারখানায় অভিযান চালানো হচ্ছে, কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারণে কোনভাবে নিয়ন্ত্রন হচ্ছে না এসব ভেজাল খাদ্যের ব্যবসা।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত