গতকাল রাতে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাপন সহসা ফোন করে অঝোরে কান্না করছিলো। কি হইছে জিজ্ঞেস করতেই ধরা গলায় জানালো, মিথ্যা সাজানো অভিযোগে তাকে সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমি সদরের ওসিকে ফোন করে কারণ জিজ্ঞেস করলাম, ওসি বললো… ভাই বোঝেনই তো, ইন্সট্রাকশন আছে। আমার কিছু করার নেই, আপনি লিডারের সাথে কথা বলেন, পাপনকে থানায় বসিয়ে রেখেছি, সকালে ছেড়ে দেবো।
গত রাতে, আজ সকালে অনেকবার ফোন করেও লিডারকে পেলাম না। ওসিও আর ফোন ধরলেন না। পাপনকে চাদাঁবাজি আর ছিনতাইয়ের মিথ্যা মামলা সাজিয়ে কোর্টে চালান করে দেয়া হয়েছে।
এভাবেই লোকাল গ্রুপিং রাজনীতির নির্মম বলি হয় ছাত্রলীগের নিরীহ কর্মীরা। রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়! আর ‘উলুখাগড়া’ হিসেবে ছাত্রলীগের চেয়ে বেটার অপশন আর কি হতে পারে!
অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করছে, বললাম নাহ! একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে আমি নিদারুণ ব্যথিত ও বিব্রত!!
অনতিবিলম্বে পাপনের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। আর বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দায়ের করা অফিসারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।