পরিবেশ ও প্রকৃতির বন্ধু শুধু নয়। মানুষের কল্যাণে এর জুড়ি নেই। তালগাছ নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক কবিতা ও গান।
তাল গাছের সুমিষ্ট ফল দেয়া ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে মানুষকে। বর্তমান সরকার তাল গাছ রোপণের উপর জোর দিলেও এক শ্রেণির লোকজন তাল গাছ কাটার মহোৎসবে মেতে উঠেছে। নানা কারণ দেখিয়ে রাস্তার পাশের ও ব্যাক্তি মালিকানাধিন তালগাছ কেটে বিভিন্ন করাত কলে বিক্রি করছে। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন ও পরিবেশ রক্ষা ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার তাল গাছ রোপণ করছেন। অপরদিকে বিভিন্ন এলাকায় তালগাছ কাটছেন করাত কলের মালিক ও কাঠ ব্যবসায়িরা। অনেকেই বিক্রি করছেন বিভিন্ন ইট ভাটায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তাল ও নারিকেল গাছ দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও বজ্রপাত প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য রক্ষা ও শোভা বর্ধনে তাল ও নারিকেল গাছের জুড়ি মেলেনা। এক সময় বিভিন্ন সড়ক ও মহা সড়কের পাশে সারি-সারি তাল গাছ শোভা পেতে দেখা গেছে। এখনও দু’একটা তাল গাছ গ্রাম-গঞ্জের ঝোপ-ঝাড়ে দেখা গেলেও তা রক্ষায় সরকারি ভাবে নেই তেমন উদ্যোগ। অতীতে অপরিচিত মানুষের বাড়ি, জমি, পুকুর, মাঠ, মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন স্থান দেখানোর জন্য বলা হতো উচুঁ ওই তাল গাছ টার পাশে। এমনকি সরকারি বা বে-সরকারি ভাবে নানা দিক নির্দেশনার ক্ষেত্রেও তাল গাছের সহায়তা নেওয়া হতো। তালের পিঠা, তালের গুড়, তালের রস, সব মানুষের খুব মজাদার খাবার।
বিশেষ করে অতীত সময় গুলোতে গ্রাম-বাংলায় তালের পিঠা ছাড়া আত্বীয়তা কল্পনাই করা যেত না। এছারা তাল গাছের পাতা দিয়ে তৈরী হয় নানা রকমের হাত পাখাও। ক্রমশই তাল গাছ হারিয়ে যাওয়ায় গ্রামীণ পরিবার গুলোতে নেই সেই তালের পিঠার অস্তিত্ব। সরকারি ভাবে সঠিক নজরদারির অভাবে তাল গাছ কাটা হচ্ছে। যেভাবে তাল গাছ কাটা হচ্ছে, সেই ভাবে তালগাছ রোপন করা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের। মাগুরায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাল ও নাারিকেল গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে করাত কলে। সেখানে দে-দারছে ফাড়াই করা হচ্ছে তাল ও নারিকেল গাছ। আসবাবপত্রের উপকরণ তৈরী করছেন ও ইটভাটায় বিক্রি করছেন ব্যাবসায়ীরা।