আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১:২১

মাদক মামলায় চিত্র নায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। পরীমনি অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী সময়ের আবেদন করেন। এসময় অপর দু’আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আসামি পক্ষের আইনজীবী আপিল ডিভিশনের আবেদনের কপি আদালতে দাখিল করেন। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ মে দিন ধার্য করেন। এরআগে ১ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার বাদী র‌্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমান সাক্ষ্য দেন। এরমধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। ওইদিন মামলার বাদির জবানবন্দি শেষে পরীমনি ও কবীর হালদারের পক্ষে এডভোকেট মাজেদুর রহমান মামুন তাকে জেরা করেন। কবীর হালদারের পক্ষে জেরা শেষ হলেও পরীমনির পক্ষে শেষ হয়নি। অন্য আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপুর পক্ষে তার আইনজীবী এস এম আক্তারুজ্জামান হিমেল জেরা করেন। আদালত এদিন অবশিষ্ট জেরা এবং পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। গত ৫ জানুয়ারি আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে আসামি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে এ মামলার দু’আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তিনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। গত বছরের ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। র‌্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। তার পরদিন গত ৫ আগস্ট র‌্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী বিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলা দায়ের করেন।

বরগুনার তালতলীতে মসজিদের ব্যাটারি চুরি করায় কাজি ডেকে স্বামীকে তালাক দিলেন স্ত্রী। শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বথিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২২ বছর আগে মাসুমা বেগমের ( ৪৬) প্রথম স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এরপর ২০০৭ সালে বরগুনার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের শাহজাহান হাওলাদারে ছেলে ফোরকানের সঙ্গে বিয়ে হয় মাসুমা বেগমের। এরপর থেকেই উপজেলার বথিপাড়ায় সরকারি আশ্রয়ণে বসবাস শুরু করেন তারা। বিয়ের পর থেকেই ফোরকান কোনো কাজকর্ম করেন না।  তিনি বিভিন্ন স্থানে চুরি করেন। এ নিয়ে তাদের সংসারে ঝামেলা লেগেই থাকতো।

শনিবার ভোররাতে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য পাওয়াপাড়া জামে মসজিদ ও পাওয়াপাড়া দোকানঘাট জামে মসজিদ থেকে তিনটি সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারি চুরি করেন ফোরকান। এই ব্যাটারি প্লাস্টিকের বস্তায় করে বিক্রির উদ্দেশ্যে বরগুনা যাওয়ার পথে ছোট বগী খেয়া ঘাট এলাকা থেকে স্থানীয় স্বপন মৃধা তাকে আটক করেন। তখন ফোরকান স্বীকার করেন এই ব্যাটারি মসজিদ থেকে চুরি করেছেন। পরে ফোরকানকে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জোমাদ্দারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ নিয়ে বথিপাড়া আশ্রয়ণে স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে স্বামী ফোরকান মসজিদের ব্যাটারি চুরি করার অপরাধে তার সঙ্গে স্ত্রী মাসুমা বেগম সংসার না করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ও ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে ওই ইউনিয়নের কাজি মহিবুল্লাহকে ডেকে স্বামীকে তালাক দেন স্ত্রী। পরে ব্যাটারিগুলো মসজিদ কমিটির সদস্যদের ডেকে ফেরত দেওয়া হয় এবং ফোরকানকে পুলিশে না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, মসজিদের ব্যাটারি চুরি হওয়ার বিষয়টি মুসল্লিরা প্রথমে আমাকে জানান। পরে স্থানীয়রা ব্যাটারি চোরকে আটক করে আমাকে খবর দেন। আমি গিয়ে চোরকে হাতেনাতে আটক করে নিয়ে আসি। পরে স্থানীয়ভাবে বৈঠকের সময় তার স্ত্রী চোর স্বামীর সঙ্গে সংসার করবে না বলে কাজী ডেকে তালাক দেন।

স্ত্রী মাসুমা বেগম বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ঘর মসজিদ থেকে ব্যাটারি চুরি করতে পারে, তার সঙ্গে আর যাই হোক সংসার করা যায় না। এ জন্য কাজি থেকে তাকে তালাক দিয়েছি।

আরো সংবাদ