ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির আজকের ম্যাচে অবিশ্বাস্য আচরণ করে ফেলেছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে মেজাজ হারিয়েছেন তিনি। স্টাম্পে লাথি মারা, স্টাম্প আছাড় দেওয়া এমনকি আম্পায়ারদের সঙ্গেও তর্কে জড়িয়ে যান তিনি। তবে ম্যাচটি শেষ হওয়ার পরপরই ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভুলের জন্য টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
আজ শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেড। ম্যাচে সাকিবদের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামে আবাহনী। তাদের ইনিংসের মধ্যেই ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা। অবশ্য ম্যাচটিতে বৃষ্টি আইনে আবাহনীকে হারিয়েছে মোহামেডান।
ম্যাচ শেষে নিজের ভুলের জন্য ফেসবুকে সাকিব লিখেছেন, “প্রিয় ভক্ত ও অনুসারীরা, মেজাজ হারানোর জন্য ও ম্যাচ নষ্ট করার জন্য আমি সবার কাছে দুঃখপ্রকাশ করছি, বিশেষ করে, তাদের কাছে, যারা ঘরে বসে দেখছেন। আমার মতো একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের উচিত হয়নি এভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো। কিন্তু কখনও কখনও দুর্ভাগ্যক্রমে সবকিছুর বিরুদ্ধে এরকম হয়ে যায়। মানবিক এই ভুলের জন্য আমি দলগুলির কাছে, ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্ট অফিসিয়ালস ও আয়োজক কমিটির কাছে ক্ষমা চাইছি। আশা করি, ভবিষ্যতে আমি আর এরকম করব না। ধন্যবাদ ও ভালোবাসা সবার জন্য।’
আবাহনীর ইনিংসে ঘটনাটি ঘটে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সাকিবের করা বল ঠিকমতো লাগাতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের প্যাডে লেগে যায় বল। সঙ্গে সঙ্গে এলবির আবেদন তোলেন সাকিবরা। খালি চোখে দেখে আউটই মনে হয়েছিল। কিন্তু সাকিবদের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। সাড়া না পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে স্টাম্পে লাথি মেরে বসেন মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব।
এরপর আম্পায়ার ইমরান পারভেজের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সতীর্থরা তাঁকে শান্ত করে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই মুহূর্তে আবাহনীর সংগ্রহ ছিল তিন উইকেটে ২১ রান। বৃষ্টির সম্ভাবনা শুরু হয়। তাই বৃষ্টি আইনে এগিয়ে থাকতে পরের ওভারে শুভাগত হোমের বলে শান্ত চড়াও হওয়ার পরপরই বৃষ্টি নামে।
ওই সময় মিডঅফে ছিলেন সাকিব আল হাসান। মুহূর্তের মধ্যে দৌড়ে এসে তিনটি স্টাম্প তুলে আছাড় মারেন মোহামেডান তারকা। আম্পায়ারের সঙ্গে ফের তর্কে জড়িয়ে যান তিনি। আবাহনীর ড্রেসিং রুমের দিকেও গিয়েও কিছু বলতে দেখা যায়। সাকিবের কাহিনী দেখে আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদও সাকিবের দিকে তেড়ে আসেন। তাঁকে গিয়ে শান্ত করেন মোহামেডান ক্রিকেটার শামসুর রহমান শুভ। সতীর্থরা এসে শান্ত করেন সাকিবকে।