মাসাধিকাল আগে যশাের থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া বিরামপুরের সেই আলােচিত হাঁস লিটনের অবশেষে সন্ধান মিলেছে। গতকাল বুধবার তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলাও হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুটোর দিকে তাকে কুষ্টিয়ার বটতৈল নামক স্থান থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করা হয়। বলে জানিয়েছে সেখানকার পুলিশ।
মাে. লিটন মােল্লা ওরফে হাঁস লিটন। যশাের সদরের বিরামপুর এলাকার আব্দুল জলিল ড্রাইভারের ছেলে । মাে. লিটন মােল্লার স্ত্রী জাহানারা খাতুন জানান, বুধবার সকালে এক ব্যক্তি
তাকে মােবাইল ফোন করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে তাকে বলেন যে, তার স্বামী কুষ্টিয়া সদর থানায় আটক
বিরামপুরের হাঁস লিটনকে অস্ত্রসহ আটকের
কালীতলার আব্দুল জলিলের ছেলে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুটোর দিকে তাদের থানার এসআই আব্দুল কুদ্স ওই ব্যক্তিকে কুষ্টিয়ার বটতৈল নামক স্থানে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তার কাছে একটি ব্যাগ ছিল। এ সময় তাকে তল্লাশি চালিয়ে দেশি তৈরি একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আটক লিটনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।
লিটনের স্ত্রী জাহানার খাতুন জানান, গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যারাতে যশােরের উপশহরস্থ বাবলাতলা থেকে যশাের সদরের তালবাড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ ক্যাম্পের
এএসআই ওবিরসহ পােশাক পরা দুই জন। এরপর তারা ফোন করে ডেকে এনে সাদা পােশাকধারী দুই ব্যক্তির কাছে তুলে দেয় লিটনকে। কিন্তু আলােচিত এই ব্যক্তিকে পুলিশ বরাবরই আটকের কথা অস্বীকার করে। ফলে কোথাও স্বামীর খোজ না পেয়ে হাঁস লিটনের স্ত্রী জাহানারা খাতুন কোতয়ালি থানায় এ সংক্রান্তে জিডি করার আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে কোতয়ালি থানার
এসআই সেকেন্দার আবু জাফর নিখোজ হাঁস লিটনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। স্বামী কারাগারে আটক আছে কি-না এ বিষয়ে তার স্ত্রীকে খোজ নেওয়ার জন্য তিনি ওই সময় তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। পরে গত ৭ আগস্ট তার জিডি গ্রহণ
করে পুলিশ। কিন্তু তাকে জানানাে হয় আর কয়েকদিন পর। গত ১০ আগস্ট লিটনের স্ত্রী তার স্বামীকে খুজে পেতে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজির কাছে আবেদন করে তার দফতরে গিয়ে। গতকাল বেলা ১২টায় প্রেসক্লাব যশােরে তার একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি জানতে পারেন তার স্বামী কুষ্টিয়া থানায় আটক রয়েছেন।