ঢাকা অফিস :রাজধানীর দক্ষিণখানে নিহত মা মুন্নী রহমানের মাথায় হাতুড়ির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া মেয়েকে গলা টিপে এবং ছেলেকে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা হয়েছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালে ফরেনসিক রিপোর্ট শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন চিকিৎসক।
মুন্নী রহমানের চাচাতো ভাই মামুনুর রশীদ বাবু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আর্থিক চাপে পড়ে এমন ঘটনা হয়তো ঘটিয়েছেন নিহতের স্বামী রকিব উদ্দিন। এছাড়া তিনি দাবি করেছেন, তাদের হত্যার আগে একটি নোট লিখে গেছেন নিখোঁজ রকিক উদ্দিন। সেখানে তিনি লিখেছেন, তার পরিবার যেন কারো ওপর বোঝা না হয় এজন্য তাদের তিনি হত্যা করেছেন। এবং নিখোঁজ রকিব উদ্দিনকে কোনো এক রেল লাইনের পাশে মৃত অবস্থায় পাওয়া যাবে বলে লিখে রেখে গেছেন।
এ ঘটনার পর বাসার বাড়িওয়ালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। যদিও পাশের ভাড়াটিয়ারা জানান তেমন পারিবারিক কলহ ছিল না পরিবারটিতে। তবে গত কয়েকদিন ধরে নিহত স্ত্রী মুন্নী বেগম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি, তবে ঘটনার সত্যতা জানতে তদন্ত চলছে।
এদিকে, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রেমবাগান এলাকায় ৮৩৮ নম্বর বাড়ি থেকে মা মুন্নী বেগম, ছেলে ফারহান ভূঁইয়া এবং মেয়ে লাইবা ভূঁইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনার পর স্বামী রকিব উদ্দিন ভূঁইয়ার কোনো খোঁজ মিলছে না।
প্রতিবেশীদের কেউ কেউ দাবি করছেন, এ ঘটনার কয়েকদিন আগে বিটিসিএলের উপ-সহকারী ইঞ্জিনিয়ার রকিবউদ্দিন নিখোঁজ ছিলেন এবং গত কয়েকদিন ধরেই স্ত্রী মুন্নী বেগম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। নিহত ছেলে ফারহান ভূঁইয়া স্থানীয় একটি স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলো।
২০১১ সাল থেকে দক্ষিণ খানের আশ্রয় ভবনের চতুর্থ চলায় ভাড়া থাকতেন এই দম্পতি।