আজ - শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৮:৩৮

মুজিব সড়কে ফল ব্যবসায়ী আখিঁ হত্যার রহস্য উম্মোচন।

ধর্ষণের জন্য জড়িয়ে ধরার সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান’ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পায়রাডাঙ্গা পূর্বপাড়ার ফল ব্যবসায়ী আকিকুল ইসলাম আকি (৪৭)।

ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় আটক একই উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৩৫) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আদালতকে এ কথা জানিয়েছেন। নিহত ওই ফল ব্যবসায়ী পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে। আকি হত্যার ঘটনায় আটক সুফিয়া শহরের ষষ্টিতলা পাড়ার মডেল মসজিদের বিপরীতে পান্নুর বাড়ির ভাড়াটিয়া। আকির মরদেহ উদ্ধারের পর কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন তার স্ত্রী মনিরা বেগম (৪৪)। এরপর গত বুধবার রাতে পুলিশ যশোরের ষষ্টিতলা পাড়ার মডেল মসজিদের বিপরীতে পান্নুর বাড়ি থেকে সুফিয়াকে আটক করে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এজাহারে নিহতের স্ত্রী উল্লেখ করেছেন, তার স্বামী ফল ব্যবসায়ী। গত ৯ জুলাই রাত ৮টার দিকে আকি বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে বসা ছিলেন। সে সময় একটি ফোন আসলে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে সেখান থেকে চলে যান। পরের দিন রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফোনে জানতে পারেন শহরের রেলগেট মডেল মসজিদের বিপরীতের একটি গলি থেকে তার স্বামীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি শহরে এসে যশোর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে তার স্বামীর লাশ দেখতে পান। তার ধারনা তার স্বামীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিকতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে সুফিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া তার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার পিতার বাড়ি মণিরামপুরের স্মরণপুর গ্রামে। ঝিকরগাছার মল্লিকপুর ও মণিরামপুরের স্মরণপুর পাশাপাশি গ্রাম। স্মরণপুরে নিহত আকির বোনের শ্বশুরবাড়ি। সেখানে যাতায়াত করতেন আকি। সেখান থেকে আকির সাথে তার পরিচয়। তার (সুফিয়ার) স্বামীর সাথে বর্তমানে কোন সম্পর্ক নেই। সে কারণে তিনি শহরের ষষ্টিতলা পাড়ায় ভাড়া থাকতেন। গত ৯ জুলাই আকি তার বাড়িতে যান এবং ঘরে গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। সে সময় তিনি বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয়। তখন আকি পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় তিনি পানি দিয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আকি নিস্তেজ হয়ে পড়লে তিনি বুঝতে পারেন আকি মারা গেছে। পরে তিনি তার শরীর ধরে কিছুদুর টেনে নিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। গত বুধবার রাতে পুলিশ তাকে আটক করে।

আরো সংবাদ