আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১২:২১

মেয়ের অত্যাচার থেকে বাঁচতে পিতার সংবাদ সম্মেলন।

মেয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পিতা মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান (৭৫)। শনিবার সকালে শরণখোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিরি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রীর দ্বিতীয় কন্যা মেহেনাজ আক্তার (২৯) অতিশয় বেপরোয়া, ঝগড়াটে ও লোভী প্রকৃতির। ১৩ বছর বয়স থেকেই ছেলেদের সাথে ঘোরাফেরা ও বন্ধুত্ব সৃষ্টি করা এবং কখনও কখনও বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যাওয়াই ছিল তার নেশা। পরিবারের অজান্তে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকা গিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করে এবং ওই গার্মেন্টসের এক কর্মচারীকে বিয়ে করে ময়মনসিংহ চলে যায়। সেখানে ১৬ বছর দাম্পত্য জীবনে ১৪ বছরের ১টি ছেলে ও ১১ বছরের ১টি মেয়ে থাকা অবস্থায় গোপনে আরো ২/৩ টি বিয়ে করে। পরে সেখান থেকে তালাকপ্রাপ্তা হয়ে ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে আবারো শরণখোলা উপজেলার পহলানবাড়ী এলাকার আমার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আশ্রয় নেয়ার কয়েক দিন পর জমি ও টাকার ভাগ চায়। পরে তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, থানার অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে শরিয়া বিধানমতে তার পাওনা জমি লিখে দেয়া হয়। তাতেও তার মন না ভরলে আবারও টাকা চেয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এ ঘটনার সূত্র ধরে আমার প্রতিপক্ষ ড. মাসুমবিল্লাহ ও আমার ভাগ্নে মিজান বিশ্বাসের ইন্ধনে গত ১৭ জুলাই দুপুরে একটি ঘর দখলকে কেন্দ্র করে মেহেনাজ একটি ‘দা’ দিয়ে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আঘাত করে। কিন্তু আমার পুত্র-কন্যা কাছে থাকায় তারা তা প্রতিহত করে। যার জন্য এ যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পাই। ওই ঘটনার সময় কারো শরীরে ধাক্কা লেগে মেহেনাজ একটি লোহার দরজার উপর পড়ে যায় এবং পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন, মেহেনাজ এ ঘটনার পর বানিয়াখালী নিবাসী আমার ভাগ্নে মিজান বিশ্বাসের কুপরামর্শে আমার বিরুদ্ধে মারধরের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

এ ব্যাপারে সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে মেহেনাজ আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি আমার বাবাকে দা দিয়ে কোপ দেইনি বরং তার স্ত্রী ও সন্তানেরা আমাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত