যশোর প্রতিনিধি : যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঠিকাদার মীর জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এর আগে চেক জালিয়াতি মামলায় তার প্রতি সমন জারি করা হয়। গত ৩০ এপ্রিল এ মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন। মীর জহুরুল ইসলাম পালবাড়ী এলাকার মৃত মীর শমসের আলীর ছেলে।
২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পুরাতন কসবা এলাকার মৃত তবিবর রহমানের ছেলে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মিন্টু বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তারা দু’জনেই ব্যবসায়ী সূত্রে পরস্পর পূর্ব পরিচিত ছিলেন। তারই সূত্র ধরে, ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা বলে বাদীর কাছ থেকে বিশ লাখ সাতাত্তর হাজার টাকা ধার নেন।
একইসাথে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ নামীয় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড যশোর শাখার সমমূল্যের একটি চেক প্রদান করেন। মেহেদী হাসান মিন্টু ব্যাংকে চেক নিয়ে গেলে ব্যাংক তা ডিজঅনার করে।
পরে বাদী আইনজীবীর মাধ্যমে উক্ত চেক ডিজঅনারের বিষয়টি উল্লেখ করে মীর জহুরুল ইসলামের কাছে পাওনা পরিশোধের জন্যে ৩০ দিনের সময় দিয়ে গত ৫ ডিসেম্বর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
গত ২৫ ডিসেম্বর তা মীর জহুরুল ইসলাম নিজে স্বাক্ষর করে গ্রহণ করলেও টাকা পরিশোধের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় এ মামলা করেন মেহেদি হাসান মিন্টু।