যশোর প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনকে অপসারণ ও প্রতিবাদকারী ৮ ছাত্রলীগ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে যশোরে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ।
আজ সোমবার সকালে শহরে সদর উপজেলা, পৌরসভা, এমএম কলেজ, সিটি কলেজ, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, যশোর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তারা প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রধান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যশোর পৌর ছাত্রলীহের আহবায়ক মেহেদী হাসান রনি, যুগ্ম-আহবায়ক রেজওয়ান হোসেন মিথুন, যশোর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক এমএম রবিউল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাবেদ উদ্দিন, মোমেল হোসেন, তসলিমুজ্জামান আকাশ, যশোর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক পার্থ সরকার, যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মারুফ হুসাইন ইকবাল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হালিম বিশ্বাস, যশোর সরকারি এমএম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আসলাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তৌহিদ, যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি সাহেদ আলী পলাশ, সাধারণ সম্পাদক ইমরান সিকদার প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, যশোরের ছাত্রলীগকে দুর্বল করতে একটি গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিশেষ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত দুই বছর ছাত্রলীগকে দুর্বল করতে নানা তৎপরতা চালিয়েছে প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে গত ২০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালযয়ের শেখ হাসিনা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়রা আজমিরা এরিনসহ ছাত্রলীগের ৮ নেতাকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে মেধাবী শিক্ষার্থী হুমায়রা আজমিরা এরিনসহ তিনজনকে আজীবনের জন্য ও অপর পাঁচজনকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেক্স ক্যালেন্ডার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার প্রতিবাদ করায় তাদের এই বহিষ্কার করা হয় বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
স্মারকলিপিতে আরোও বলা হয়, তৃণমূল পর্যায়ে বর্তমান সরকারের সফলতা আর আগামীর স্বপ্ন তুলে ধরতে যশোরের প্রতিটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করছে ছাত্রলীগ। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ তারই অংশ হিসেবে আশপাশের কয়েকটি উপজেলায় গরিব মানুষের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত কাজ করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বারবার এই কাজের বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে।