পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র মতে, একই এলাকার এক মেয়ের সাথে মোহাম্মদ হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এতে প্রেমিকার পরিবার ক্ষুব্ধ ছিলো। মেয়ের পরিবার উত্যক্ত (প্রেমিকাকে) করার অভিযোগ এনে শনিবার তাকে মারধর করেছিলো। এর জের ধরে ওই দিন গভীর রাতে নিজ গৃহে আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন মোহাম্মদ হোসেন। এদিকে মোহাম্মদ হোসেন আত্মহত্যা করেছে এমন খবর শুনে রোববার সকালে প্রেমিকা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে দাবি করা হয়। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।
পরিবারের দাবি, হোসেনের মৃত্যর খবর জানতে পেরে তাদের মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ছেলে পক্ষের দাবি মারধরের ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য প্রেমিকাকে তুঁতে খাওয়ার নাটক করানো হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জসিম উদ্দিন জানান, রাতে হোসেন নামে একজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এর আগেই তার মৃত্য হয়। তার গলায় ফাঁস দেয়ার চিহ্ন রয়েছে। অপরদিকে সকালে এক তরুণীকে নিয়ে আসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত শেখ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, হোসেনের মৃত্যুর বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।