আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - দুপুর ২:০৬

যশোরে সংখ্যালঘুদের ঘের থেকে উচ্ছেদ করার অভিযোগ, প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

এস আই ফারদিন: যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে কেশবপুরের ঘের ব্যবসায়ীগন।যশোর কেশবপুর উপজেলার ৮ নং সুফলাকাটি ইউনিয়নের সাবেক এক ইউপি চেয়্যারমানের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের মৎস্য ঘেরের বেড়ি বাঁধ কেটে নিজের ঘেরে মাছ ঢুকিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ (১২ই আগস্ট) বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান ঘের মালিকগন।

এই অভিযোগে। গত ১৪ই জুলাই বুধবার দুপুরে মানববন্ধন ও করেন সংখ্যা লঘু পরিবারের শত শত লোকজন।

সাবেক চেয়ারম্যানের ঘেরের পাশে থাকা এলাকার ছোট ঘের মালিকগন ভেড়ি কেটে দেওয়ার কথা জানতে গেলে সাবেক ঐ ইউপি চেয়্যারমানের তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা সংখ্যালঘুদের হুমকি ধামকি দেয়।

বিল খুকশিয়ায় কোন ফসল না হওয়াতে, ঘের মালিকদের পখে সুভাষ চন্দ্র মোন্ডল বলেন দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা ছোট ছোট ঘেরে মাছ চাষ করিয়া সংসার চালিয়ে আসছি। বিগত তিন বছর যাবৎ প্রভাবশালী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর রহমান ওই বিলে ৪০০/৫০০ বিঘা জমিতে ঘের করে, এবং পাশে থাকা ছোট ছোট ঘের গুলি দখন করার জন্য বিভিন্ন ভাবে আমাদের উপর অত্যাচার করে আসছে।

পরিকল্পিত ভাবে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর ও তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে রাতের আধাঁরে ঘেরের ভেড়ি বাঁধ কেটে দিয়ে ছোট ঘেরের মাছ তার ঘেরে ঢুকিয়ে নিয়েছে,এবং এলাকার সংখ্যালঘু ঘের চাষীদের সর্বশান্ত করার পায়তারা করছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় কালিচরণপুর ও আড়–য়া গ্রামের ঘের মালিক আঃ ওহাব সরদার, সুভাষ চন্দ্র মন্ডল, দীপক মন্ডল, বিধান সরকার, শচীন মন্ডল, কমলেশ বাইন, ধলা বালা, বরুণ মন্ডল , হরিচাদ বাকচি, গোবিন্দ মন্ডল, আনন্দ সরকার উপরোক্ত সকলের ঘেরের পাড় কেটে দেওয়া দেখা ভেঙ্গে পড়েন।

ভুক্তভুগিরা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান । সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুজিৎ হালদার বলেন, গত (০৮ই জুলাই) বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের বিল খুকশিয়ায় (পশ্চিম) কালীচরণপুরের সংখ্যালঘুদের মৎস্য ঘেরের ভেড়ী বাঁধ কেটে দিয়ে এগারটি ঘেরের মাছ নিজের ঘেরে ঢুকিয়ে নেয়। ভুক্তভোগি ঘের মালিকগন সকালে ঘেরে যেয়ে ভেড়ি কাটা দেখে হতভম্ভ হয়ে পড়ে। অভিযোগ কারীদের অভিযোগ সঠিক আমি তদন্ত পূর্বক এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার জোর দাবি জানাই। ভুক্ত ভোগীরা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আরো সংবাদ