যশোর ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল শিক্ষক আটক হয়েছেন। আটক ইউসুফ আলী যশোর সদরের বালিয়া-ভেকুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃষিশিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের অভিযোগের পর তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রীটির মা থানায় অভিযোগ দিয়েছে।

শিক্ষার্থী ও তার মা অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীর ইংরেজি বিষয়ের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সপ্তম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী টয়লেটে যায়। সেখানে গিয়ে কৃষিশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক ইউসুফ আলী তাকে জড়িয়ে ধরে কু-প্রস্তাব দেয়।

এসময় শিক্ষার্থী পালিয়ে পাশের শাহাজানের বাড়িতে যায়। পরে ওই বাড়ি থেকে নিজবাড়িতে যাবার সময় অভিযুক্ত শিক্ষক তার পিছু নেয় এবং তাদের বাড়িতে গিয়ে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান। কিন্তু এরইমধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ইউসুফকে মারপিট করেন। তাকে রক্ষা করতে এসে জাহাঙ্গীর নামে আরও এক শিক্ষক গণরোষের শিকার হন।

আক্রান্ত শিক্ষার্থী ও তার মা আরও জানায়, পরীক্ষার কয়েকদিন আগে থেকেই শিক্ষক ইউসুফ আলী নিয়মিত তাদের বাড়িতে অযাচিত প্রবেশ করে ওই শিক্ষার্থীকে তার বাড়িতে যাবার প্রস্তাব দিতেন। কিন্তু মেয়েটি ওই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি।

যশোর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শামসুদ্দোহা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং স্থানীয়দের হাতে আটক শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মেয়েটির মা থানায় অভিযোগ দিয়েছে।

বালিয়া-ভেকুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের জানান, এই শিক্ষককে ঘিরে এর আগে নানা কানাঘুষা শোনা গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ অভিযোগ করেননি। এটাই তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে করা প্রথম অভিযোগ।