মো:নয়ন সরদার শার্শা প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা উপজেলার বেড়ী-নারায়ণপুর গ্রামে হাজেরা খাতুন (২১) এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। সে ব্রেণ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মঙ্লগবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১২ টাই মৃত্যুবরণ করে । মৃতা হাজেরা খাতুন বেড়ী-নারায়ণপুর গ্রামের জাহান আলীর কন্যা এবং ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী গ্রামের শাজাহানের স্ত্রী। এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ব্রেণ ও মাথার সমস্যায় ভুগছিলো হাজেরা। কিন্তু বাসার কেউ সেটা কখনো গুরুত্ব দেয়নি । যখন মাথা যন্ত্রণায় ছটফট করতো তখন তারা হাজেরাকে কবিরাজের কাছে নিয়ে যেতো। এবং কবিরাজ তার উপরে জ্বীনের প্রভাব আছে বলে এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলো। এলাকাবাসীরা আরো জানায়, গত একমাস ধরে হাজেরা খুব অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং গত ১৫ দিন আগে সে হঠাৎ করে অন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় মানষিক ভাবে ভেঙে পড়েন হাজেরার পরিবার। তাকে স্থানীয় নাভারণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে এলে সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে যশোরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা। সেখানেও তার অবস্থা অনেক খারাপ হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাই পাঠিয়ে দেন। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষার নিরিক্ষার পরে ডাক্তার ও তার পরিবারের লোকজন জানতে পারেন সে দীর্ঘদিন ধরে ব্রেণক্যান্সারে আক্রন্ত। এখন আর কিছুই করার নাই, সবটাই হাতের বাইরে চলে গেছে বলে জানিয়ে দেন সেখানকার চিকিৎসকরা। তাকে আর বাচানো সম্ভব না বলে সেখান থেকেও তাকে বাসাই ফেরত পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। গত ২৮নভেম্বর তাকে বাসাই ফিরিয়ে আনা হয়। তখন থেকেই সে অচেতন অবস্থায় (কোমায়) ছিলো। মঙ্গলবার রাত১২ টার সময় পরিবারের সকলের মায়া কাটিয়ে মৃত্যু বরণ করেন হাজেরা। মরণঘাতী ক্যান্সার কেড়ে নিলো আরো একটি প্রাণ। হাজেরার এমন অকাল মৃত্যুতে এলাকাবাসী ও তার পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বাস্তবিক অর্থে এখনও পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনও ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। ক্যান্সার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে এই রোগ সারানোর সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যায়। প্রায় ২শ প্রকারেরও বেশি ক্যান্সার রয়েছে। প্রত্যেক ক্যান্সারই আলাদা আলাদা এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা।