আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৮:৫২

যশোরে অজ্ঞাতো দুটি লাশের পরিচয় শনাক্ত।

যশোরে একদিনে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সদুল্লাপুর ভৈরব নদ ও হৈবতপুরের সাতমাইলে রেললাইনের পাশের ঝোঁপ থেকে লাশ দুটি উদ্ধার হয়। নিহতরা হলেন যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের পুড়াটাল গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ইজিবাইক চালক ইমন (২০) ও ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদালপুরের শহিদুল ইসলামের ছেলে ইস্রাফিল হোসেন (২৫)।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে ভৈরব নদের পাড় থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এরপর তারা নদের পানিতে বস্তাবন্দি লাশ ভাসতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়। মুহুর্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ, ডিবি ও পিবিআই সদস্যরা। অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এরপর ফিঙ্গার প্রিন্ট ও পকেটে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে ইমনের পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করেন।

নিহত ইমনের পিতা আবুল কালাম জানান, তার ছেলে (ইমন) একজন ইজিবাইক চালক। ২৮ এপ্রিল ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর  ফিরে আসেনি।  মোবাইল ফোনের নম্বর বন্ধ ছিলো। ইজিবাইক স্ট্যান্ডে খোঁজ নিলে অন্য চালকরা জানায়, ২৮ এপ্রিল বিকেলের দিকে ইমনকে বসুন্দিয়ার দিকে ভাড়া নিয়ে যেতে দেখেছে।

আবুল কালাম আরও জানান, ছেলের সন্ধান না পেয়ে ২৯ এপ্রিল অভয়নগর থানায় সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন। ৩০ এপ্রিল পুলিশ খবর দেন ভৈরব নদের পানি থেকে তার ছেলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার হয়েছে। যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা ইমনকে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে ধারণা করছেন আবুল কালাম।

এদিকে, একই দিন হৈবতপুর ইউনিয়নের সাতমাইল এলাকার রেললাইনের পাশের ঝোঁপে ইস্রাফিল হোসেন নামে আরেক যুবকের লাশ পড়ে ছিলো। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে  লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় একজন  ৯৯৯ এ নম্বরে কল করে ঘটনাটি জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। স্থানীয়দের ধারণা, দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর চলন্ত ট্রেন থেকে লাশ ফেলে যেতে পারে।

এই বিষয়ে জিআরপি যশোর ক্যাম্পের ইনচার্জ মনিতোষ বিশ্বাস জানান, ইস্রাফিল হোসেন একজন কলা বিক্রেতা।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পর দুর্বৃত্তরা ইমনকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে নদের পানিতে ফেলে দিয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

ওসি আরও জানান, হৈবতপুরের সাতমাইল রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদালপুরের শহিদুল ইসলামের ছেলে ইস্রাফিলের। তার মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি হত্যা না দুর্ঘটনায় মৃত্যু তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

আরো সংবাদ