শিশুদের পুঁজি করে যশোরে একটি চক্র মোবাইল ও কম্পিউটার ভাড়া দিয়ে বাণিজ্য সংক্রান্ত ধারাবাহিক সংবাদের পর অভিযানে নেমেছেন পুলিশ। শনিবার দুপুরে শহরের আদর্শ স্কুলের সামনে অনুর দোকান ও খালধার রোডের ইব্রাহিমের দোকানে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ অনুর দোকান থেকে তিনটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দোকানটি বন্ধ করে দিয়েছে। পরে খালধার রোড বকুলতলার ইব্রাহিমের দোকানে পুলিশ যাওয়ার আগেই কৌশলে পালিয়ে যায় ইব্রাহিম। এছাড়া পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় শুক্রবার রাতেই তিনি দোকান থেকে কম্পিউটার ও মোবাইল সরিয়ে ফেলেন।
এদিকে, শনিবার যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের কয়েকটি দোকানের সন্ধান মিলেছে। অভিযোগ রয়েছে প্রতিটি দোকানেই এ ধরণের কাজ চালানো হচ্ছে। কিন্তু গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর তারা কেউ কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন। সচেতন মহলের দাবি অবৈধ এসব দোকানে অভিযান চালাতে উচ্ছেদ করতে হবে। নতুবা যশোরে পাবজির নেশা আরো ভয়াভয় রুপ ধারণ করবে।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন শহরের শংকরপুর আকবরের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের ভেতরে আরো একটি দোকান। সেখানে ৮/১০ বছরের কিশোর খেলা করছে। সাংবাদিক আসার খরব শুনেই দোকানি সেতু তড়িঘড়ি করে তাদেরকে বের করে দেয়। এসময় কথা হয় সেতুর সাথে। তিনি অকপটে স্বীকার করেন, তিনি এসব গেম খেলান। তবে এটা অবৈধ কিছু নয়, বৈধ পথেই তিনি টাকা উপার্জন করছেন। এসময় কথা হয় ওই এলাকার কয়েকজন খেলাপ্রেমী কিশোরের সাথে। তারা জানান, তালতলামোড় বাজারের সুমন ও কুদ্দুসের দোকানসহ আরও কয়েক দোকানে এ ধরণের খেলার সুযোগ পান।
কয়েকটি দোকানে দেখা যায়, খেলার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু খেলোয়াড় নেই। তবে আশপাশের লোকজনের দাবি, অন্যদিন নিয়মিত তারা এ ধরণের খেলাধূলা করে। কিন্তু আজ পত্রিকায় সংবাদ হওয়ায় তারা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। দোকানিদের দাবি, তারা কোনো অবৈধ কাজ করছেন না। আবার কেউ কেউ বলছেন একসময় তারা এসব কাজের সাথে জড়িত ছিলেন কিন্তু এখন তারা আর এ কাজ করেন না।
এ বিষয়ে যশোর সদর ফাঁড়ির ওসি সুমন ভক্ত বলেন, শনিবার দুপুরে তারা দুটি দোকানে অভিযান চালিয়েছে। এসময় তিনটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। ওই দোকান বন্ধ রাখতেও বলা হয়েছে। এছাড়া অপর দোকানটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছেন।
সূত্র – রাতদিন নিউজ