যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চার জেলার করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে যশোরে চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট ও পুলিশের দুই এসআইসহ ১৬ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের পরীক্ষণ দলের সদস্য এনএফটি বিভাগের শিক্ষক ড. তানভীর ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ড. তানভীর ইসলাম জানান, প্রতিষ্ঠানটির জিনোম সেন্টারের ল্যাবে যশোরসহ ৪টি জেলার মোট ১৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। বাকি ১৩১ জনের নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে যশোরের ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১৬ জনের পজেটিভ পাওয়া যায়। এ বাদে নড়াইলে ২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪ জনের, বাগেরহাটের জেলার ৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের ও মাগুরা জেলার ১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, গেলো ১৫ জুনের সংগ্রহ করা ৫৪টি নমুনা বুধবার যবিপ্রবি ল্যাবে পরীক্ষা করে নতুন করে ১৬ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ৪ জনের, অভয়নগর উপজেলায় ৪ জন, কেশবপুরে ৩ জনের, ঝিকরগাছা উপজেলায় ১ জন এবং চৌগাছা উপজেলায় ১ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। এনিয়ে যশোর জেলায় সর্বমোট ২৮৪ জন করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র মতে, যশোর সদরে চিকিৎসক, ফার্মাসিস্টসহ আক্রান্ত নতুন ৪ জন হলেন, যশোর শহরের পোস্ট অফিসপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিহাজুর রহমান (৫৯), একই এলাকার বাসিন্দা ও যশোর জিলা স্কুল হেলথের ফার্মাসিস্ট বিথীকা রায় (৪৮), শহরের কদমতলা এলাকার রাখি (৩৩) ও সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের জাকারিয়া ফিরোজ (৬২)। কেশবপুর উপজেলার আক্রান্তরা হলেন, এসআই তরিকুল ইসলাম (৪৫), একই উপজেলার ত্রিমোহিনী গ্রামের জুলকার (২৭) ও একই গ্রামের তুষার (৩৮)। চৌগাছা উপজেলার ঋষিপাড়ার বাসিন্দা অঞ্জনা (৩৮), শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া গ্রামের মোজাফার (৫০), বেনাপোল এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারা (৬০), মনোয়ার হোসেন (৩৪) ও বুরুজবাগান গ্রামের রিনা নাসরিন (৪৫)। অভয়নগর উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন, পরিতোষ রায় (৬৪), জিল্লুর রহমান (৪৮), বিল্লাল হোসেন (৫২) এবং ঝিকরগাছা উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন এসআই সিরাজুল ইসলাম (৪১)। আক্রান্ত সকলকে নিজ নিজ বাড়িতে রয়েছেন। তাদের বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।