যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড অক্সফোর্ড ইংলিশ স্কুলের ভানু ম্যাডামের বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুর রহমান ওরফে মামুনের স্ত্রী নুসরাত বেগম ওরফে হিমু (২০)কে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে জামাতাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার ২৬জুন রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন হিমু বাবা আবু বক্কর।
আসামীরা হচ্ছে, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাদে নাভারন,গোডাউন কলোনী বর্তমানে শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড,অক্সেফোর্ড ইংলিশ স্কুলের ভানু ম্যাডামের বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহাজান মোড়ল ওরফে লিটনের ছেলে জামাতা আব্দুর রহমান ওরফে মামুন, জামাতার মাতা মোছাঃ রেকসনা বেগম ও ঝিকরগাছা উপজেলার হাড়িয়া বেলেমাঠ গ্রামের গোলাম মর্তুজার ছেলে মারুফ হোসেন। পুলিশ জামাতা মামুনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ফকির হাটখোলা গ্রামের মৃত ইসরাইল ফকিরের ছেলে আবু বক্কর বাদি হয়ে মামলায় উল্লেখ করেন,তার মেয়ে নুসরাত বেকম ওরফে হিমু সাথে আব্দুর রহমান ওরফে মামুনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেই সূত্র ধরে হিমু দেড়বছর পূর্বে বাড়ি থেকে বের হয়ে মামুনের সাথে বিয়ে করে। বিয়ের পর মামুন তার স্ত্রী হিমুকে যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডস্থ উক্ত বাড়িতে ভাড়া হিসেবে সংসার শুরু করে। মামুন রিকশা চালিযে জীবিকা নির্বাহ করতো। হিমুর সাথে তার বাবার মাঝে মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা বার্তা হতো।
মামুনের সাথে সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হতো ও নির্যাতনের শিকারের কথা বাবাকে জানাতো। মামুনের মা ও মারুফ হোসেন উক্ত মামুনের বাড়িতে বেড়াতে এসে সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হলে মামুনের মাতা হিমুকে বলতো তোর মতো বউ আমার দরকার নেই। তুই গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারিসনা এই কথা হিমু তার বাবাকে বলতো। ২৪ জুন রাত সাড়ে ৮ টায় হিমুর সাথে তার স্বামী মামুনের মানোমানিল্য হলে মামুন হিমুকে চড় থাপ্পড় মারে এবং রাতে ঘুমিয়ে পড়ে।
পরের দিন ২৫ জুন সকার ১১ টায় মামুনের খালু আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাদিকে জানায় মেয়ে হিমু আত্মহত্যা করেছে। বাদি আবু বক্কর যশোর এসে জানতে পারে ২৪ জুন রাতে মামুনের মাতা ও মারুফ হোসেনের প্ররোচনায় মামুন হিমুকে মারপিট করায় অভিমান করে রাতে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। রোববার ২৭ জুন গভীর রাতে পুলিশ উক্ত ভাড়া বাসাকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে। রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করে।