আব্দুল আলিমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ইজিবাইক চালক তরিকুল ইসলামের মেয়ে তীশা গতকাল বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিলো। গতকাল বিকাল আনুমানিক ৫ টার দিকে মক্তবে পড়তে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয় শিশুটি।
অনেক খোঁজাখুজির পর আজ সকালে মেয়েটির বাবা কোতয়ালি মডেল থানায় একটি জিডি করেন। পরে আজ সোমবার সন্ধ্যার কিছু সময় আগে খ্রীষ্টান পাড়ার জেসমিন (৪০) কচুর পাতা কাঁটতে গিয়ে নতুন মাটি খোঁড়া একটি ভরাট গর্ত দেখতে পান এবং গর্তে পা সাদৃশ্য কিছু অনুভব করে তিনি ডাক চিৎকার করলে প্রতিবেশিরা এসে গর্ত খুঁড়ে তীশার মরদেহ উদ্ধার করেন। তীশার মরদেহে নখের আঁচড় সহ অনেক ক্ষত রয়েছে। যা দেখে ধারনা করা হচ্ছে তীশাকে ধর্ষন করে হত্যার পর মাটিতে পুতে রাখা হয়েছিলো।
খবর পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানার এসআই সমির ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন।
অপরদিকে ৭ বছরের শিশু তীশার ধর্ষণকারী শামিম (২৪) পরিবার সহ পালাতক রয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যার ব্যাপারে এখনো মামলা না হলেও ধর্ষক শামিম কে আটক অভিযানে নেমেছে পুলিশ। ইতিপূর্বে শামিমের বিরূদ্ধে এলাকায় যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
রাত ৮ টার দিকে আরবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম ও কোতয়ালী মডেল থানার ওসি অপূর্ব হাসান ধর্ষক শামিমের ঘরের তালা ভেঙ্গে রক্ত মাখা গামছা ও দঁড়ি উদ্ধার করেছে। যা মামলার আলামত হিসেবে সংরক্ষন করা হয়েছে।