আজ - সোমবার, ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ৯:৪৬

যশোরে আলোচিত জুম্মান হত্যা,১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা।

যশোর রেলস্টশনে ১৩ মামলার আসামি জুম্মান খুনের ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। রেলস্টেশনে হত্যাকাণ্ডের কারণে জিআরপি খুলনা থানায় মামলা হচ্ছে। নিহতের ভাই মামুন ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরো ৪/৫ জনের নামে একটি জিআরপি থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।  তবে হত্যায় জড়িত নয় এমন অনেককে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

হত্যার ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জিআরপি কুষ্টিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মজনুর রহমান ও খুলনার জিআরপি থানার ওসি মোশারফ হোসেন। রোববার ওই দুই কর্মকর্তা যশোর জিআরপি ফাঁড়িতে আসেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন যশোর জিআরপির ইনচার্জ এসআই সাহিদুল ইসলাম।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, নিহত জুম্মান নিজেও একজন দুর্বৃত্ত ছিলেন। র‌্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন।  জুম্মান অনেক মানুষকে ফাঁসিয়েছেন। মাদক ব্যবসা ছিলো তার মূল পেশা। রায়পাড়ার প্রিন্স তার কাছ থেকে বাকিতে দুই কেজি গাঁজা কিনেছিল। ওই গাঁজার টাকা চাওয়া নিয়ে প্রিন্সসহ তার সঙ্গীদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয় তার। এর জেরে জুম্মানকে শনিবার সন্ধ্যার দিকে ধাওয়া করে রেলস্টেশন এলাকায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জুম্মান হত্যার ঘটনায় খুলনা জিআরপি থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়েছে কি না তারা এখনো জানে না।  তবে ঘটনায় জড়িত ১৪ জনের নাম পাওয়া গেছে।

তারা হলো, রায়পাড়ার খালিদ হোসেনের ছেলে ইমন, রিপনের ছেলে প্রিন্স, কালা বাবুর ছেলে রনি, শংকরপুর পশু হাসপাতাল এলাকার কাজী তৌহিদের ছেলে রাকিব ওরফে ভাইপো রাকিব, রেলস্টেশন রোডের খাদ্য গুদামের পেছনের রবিউল ইসলাম রবির ছেলে শুভ, বেজপাড়া তালতলার মোড় এলাকার ইমান আলীর ছেলে সবুজ, রেলস্টেশন এলাকার হোটেল শাহনাজের পেছনের তরিকুল ইসলামের ছেলে রুবেল, রেললাইনের পাশের কলাবাগান এলাকার ছোট রনি, পুলেরহাট এলাকার মোহাম্মদ, রায়পাড়ার ঢ্যাপ পকেটমারের ছেলে সাগর, জাফরের ছেলে সজিব, কিসলু গাজীর ছেলে শাহিন এবং শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার বিপ্লব।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, এই তালিকায় অনেককে আসামি করা হচ্ছে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে। ঘটনার সময় ছিল মাত্র ৬ জন। কিন্ত আসামি হচ্ছে দ্বিগুণ। বিশেষ করে বিপ্লব নামে এক ভাঙরি ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়েছে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য মূলকভাবে। কিছুদিন আগে বিপ্লবের কারখানায় দুইটি ওয়ানশুটার গান রেখে দিয়ে র‌্যাবের কাছে খবর দিয়েছিল নিহত জুম্মান। সে সময় জুম্মান র‌্যাবের সোর্স হিসাবে কাজ করতো। র‌্যাব যখন অস্ত্র উদ্ধার করে তখন আসল বিষয়টি অনেকে জেনে যায়। ফলে এই ঘটনাটি তদন্ত করে ডিবি পুলিশ। ডিবি পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারেন ব্যবসায়ী বিপ্লবকে ফাঁসানোর জন্য জুম্মান অস্ত্র রেখে দেয়। ফলে জুম্মান, প্রিন্সসহ ৪/৫জনের নামে ডিবি পুলিশ একটি মামলা করে। তখন থেকে জুম্মান ব্যবসায়ী বিপ্লবকে অব্যাহত ভাবে টাকার জন্য চাপ দিতো। এখন জুম্মান মারা যাওয়াতে বিপ্লবকে ফের ফাঁসাতে এবং হয়রানি করতে মামলা সাজানো হচ্ছে।

 

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত