যশোরের শংকরপুরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী জুম্মন হত্যা মামলায় ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে খুলনা রেলওয়ে থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন রেলওয়ে থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক হোসেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার খালিদ হোসেনের ছেলে ইমন কাজী, সাইফুল রহমান রিপনের ছেলে ওয়াকিল ইসলাম প্রিন্স, রায়পাড়ার কালা বাবুর ছেলে রনি, শংকরপুর পশু হাসপাতাল এলাকার কাজী তৌহিদের ছেলে রাকিব ওরফে ভাইপো রাকিব, বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড় এলাকার রবিউল ইসলাম রবির ছেলে শুভ, বেজপাড়া বিহারী পট্টির ইমান আলীর ড্রাইভারের ছেলে সবুজ, শংকরপুরের তরিকুল ইসলামের ছেলে রুবেল ওরফে কপাল কাটা রুবেল, খড়কি রেললাইনের পাশের কলাবাগান এলাকার দুলাল শেখের ছেলে রবি ওরফে ছোট রবি, পুলেরহাট কৃষ্ণবাড়ি গ্রামের বাবুর ছেলে মোহাম্মদ, চাঁচড়া রায়পাড়া ইসমাইল কলোনীর আব্দুল আলীম ওরফে ঢ্যাপ পকেটমারের ছেলে সাগর, রায়পাড়া তুলোতলার জাফরের ছেলে সজিব, চাঁচড়া রায়পাড়ার কিসলু কাজীর ছেলে শাহিন ও শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে আশরাফুল হাসান বিপ্লব।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রেলগেট এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ অফিসের সামনে জুম্মানকে ছুরিকাঘাত করে আসামিরা। পরে তিনি দৌঁড়ে পালিয়ে রেলস্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্মের দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে গিয়েও আসামিরা ছুরিকাঘাত করে। আহত জুম্মানকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মামুন হোসেন ১১ ফেব্রুয়ারি ১৩ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। জুম্মান একাধিক মামলার আসামি ছিল।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, জুম্মান আসামি প্রিন্সের সাথে ব্যবসা করত। প্রিন্সের কাছে পাওনা ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল জুম্মানের। প্রিন্স পাওনা টাকা না দিয়ে ঘোরাতে থাকে জুম্মানকে। একপর্যায়ে জুম্মান পাওনা টাকা আদায়ে প্রিন্সের পালসার মোটরসাইকেল বন্ধক রাখে। পাওনা টাকা দিলে জুম্মান প্রিন্সের মোটরসাইকেল ফেরত দেবে। মোটরসাইকেলটি গ্যারেজ থেকে চালিয়ে দেখার কথা বলে প্রিন্স নিয়ে গিয়ে আর ফেরত দেয় না। পরে জুম্মান মোটরসাইকেল ফেরত চাইলে টাকা অথবা মোটরসাইকেল কোনটি ফেরত দেবে না বলে জানিয়ে দেয় প্রিন্স। এনিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রিন্স অপর আসামিদের সাথে পরিকল্পনা করে হত্যা করে।
আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত সকল আসামিদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।