যশোর কোতয়ালী থানাধীন খড়কি কারবালা বামনপাড়া রোডে ফারাজি দোকানের মালিক ইরফান ফারাজি, পিতা- মোঃ রফিকুল ইসলাম ফরাজিকে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন দুস্কৃতকারীরা বুকে চাকু মেরে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত ফারাজিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
নিহতের ভাই ইমরান ফরাজি বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করে কোতয়ালী থানায়
ঘটনাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে আসামীদের সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের লক্ষ্যে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন।
ঘটনাস্থলের পাশে একটি মাদ্রাসার সিসিটিভি ফোটেজ থেকে আসামীদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত থাকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। সিসি ক্যামেরা থেকে সনাক্তকৃত বহুল আলোচিত চাচড়া রায়পাড়ার পাখিকে গ্রেফতারের জন্য চলে অভিযান। পরে চাচড়া রেলগেট এলাকায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কসবা ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে বহুল আলোচিত হত্যায় সরাসরি জড়িত আসামী আব্দুল্লাহ ওরফে পাখিকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি ও কসবা ফাঁড়ি পুলিশের যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আব্দুল্লাহ ওরফে পাখি র দেওয়া তথ্য মতে রেল গেট টেরা বাবুর দখলভুক্ত রেলের জায়গায় ছোট্ট একটি পুকুর থেকে ১টি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে জানা যায়, আঃ কাদের ঘটনার ১ সপ্তাহ আগে ইরফান ফরাজীকে হত্যা করার জন্য ৫০ হাজার টাকায় ভাড়া করে ০৫ জনকে পাখি, বিপ্লব, তাওহীদ, শিশির ও রাহুলকে। হত্যার আগে ১০ হাজার টাকা দেয় পরে হত্যার পর ১৫ হাজার টাকা দেয়। পরে সিসি ক্যামেরায় জানা জানি হয়ে গেলে আঃ কাদের পাখি ও বিপ্লবকে গাড়ি যোগে বাগেরহাট পাঠিয়ে দেয়। পরে তাদের নিয়ে বেনাপোল মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে চোরা পথে পাখিকে ভারতে পাঠিয়ে দেয়। পাখি ফেরত আসলে অদ্য রাতে গ্রেফতার হয়। এর আগে তাওহীদ ও আঃ কাদেরদ্বয়কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে তারা দোষ স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর আব্দুল্লাহ @ পাখি (২০), পিতা-মৃত লিয়াকত হোসেন, পালিত পিতা-জাফর, সাং-চাঁচড়া রেলগেট রায়পাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।