আজ - রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১২:৩৪

যশোরে এসএ পরিবহনের সাবেক ম্যানেজার গ্রেফতার

প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাত ও হুমকি দেয়ার অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পটুয়াখালী জেলা সদরের এজেআর পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস থেকে জসিম উদ্দিন (৩৩) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার তাকে আটক করা হয়।

পিবিআইয়ের এসআই রেজওয়ান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে পটুয়াখালী পিবিআইয়ের সহযোগিতায় পটুয়াখালী এজেআর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস কক্ষ থেকে জসিমকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার জসিমকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী আদালত) মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আটক জসিম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআইয়ের কাছে ছয় লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে।

এঘটনায় এসএ পরিবহন যশোর আরএন রোড শাখার ম্যানেজার মাগুরা জেলা সদরের আদর্শপাড়ার সিরাজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আব্দুল লতিফ বৃহস্পতিবার বিকেলে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় পিতাপুত্রসহ দুইজনকে আসামি করা হয়।

আটক জসিম উদ্দিন বরিশাল বানারিপাড়া থানার বড় ভৈতস্বর গ্রামের বর্তমানে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার কুতুবপুর গ্রামের কুদ্দুস ফকিরের ছেলে। এ ঘটনায় জসিমের পিতা মৃত সামসের আলী ফকিরের ছেলে কুদ্দুস ফকিরকেও (৬০) আসামি করা হয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, জসিম উদ্দিন গত ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসএ পরিবহন আরএন রোড যশোর শাখায় পার্সেল সহকারী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এসএ পরিবহন যশোর শাখায় কর্মরত থাকাকালে জসিমের উপর কন্ডিশনের মালামাল ডেলিভারির দায়িত্বে ছিলেন।

এরপর জসিমকে ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এসএ পরিবহন যশোর আরএন রোড শাখা থেকে পদোন্নতি দিয়ে যশোর বেনাপোল শাখায় ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার হিসাবে বদলি করা হয়।

তাকে বদলি করার সময় যশোর শাখার হিসাব বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন সুকৌশলে নামমাত্র হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে যশোর বেনাপোল শাখায় যোগদান করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন গ্রাহকদের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে কন্ডিশনের মালামাল

ডেলিভারির টাকার হিসাব গরমিল হলে অভিযুক্তকে ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর যশোর বেনাপোল এসএ পরিবহন শাখা থেকে কর্মচ্যুত করে টাকার হিসেব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য তলব করা হয়।

অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনের উপস্থিতিতে এসএ পরিবহন আরএন রোড শাখায় হিসাব নিকাশ করাকালে জসিম উদ্দিনের কন্ডিশনের মালামাল ডেলিভারি দিয়ে অভিনব কায়দায় আট লাখ এক হাজার টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

এরপর প্রতিষ্ঠান থেকে আত্মসাৎকৃত টাকা আদায়ের জন্য করার জসিম উদ্দিনকে চাপ সৃষ্টি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল অভিযুক্তের খালু এসএম সামি এসএ পরিবহন, মিরপুর শাখা, ঢাকায় উপস্থিত হয়ে দুই লাখ টাকা ফেরত দেন।

বাকি ছয় লাখ এক হাজার টাকা পর্যায়ক্রমে ফেরত দেয়ার লিখিত অঙ্গিকার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে আর কোন টাকা ফেরত দেয়া হয়নি।

আরো সংবাদ