চাঁদার দাবিতে যশোর সদরের নিচিন্তপুর গ্রামের ড্রাগন চাষি হাফিজুরকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেছেন হাফিজুরের পিতা হাশেম আলী। সোমবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে।
আসামিরা হলো সদরের তীরের হাট গ্রামের কাওছারের দুই ছেলে বজলু ও ফজলু, বজলুর দুই ছেলে বিজয়, রিয়াজ, নজরুলের তিন ছেলে জাহিদ, ইয়াসিন, জাকির এবং গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মাহবুব।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, বাদী ও আসামিরা একই মাঠে চাষাবাদ করেন। হাশেম আলী তার জমিতে এবার ড্রাগনের চাষ করছেন। আসামিরা ড্রাগন চাষে বাধা দিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ১১ ডিসেম্বর বিকেলে হাশেম আলী ও তার ছেলে হাফিজুরসহ অপর একজন জমির ড্রাগন গাছের পরিচর্যা করছিলেন। এ সময় আসামিরা এসে চাঁদার টাকা দাবি করে গালিগালাজ করতে থাকে।
চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা তাদের মারপিট শুরু করে। এর মধ্যে আসামিরা হাফিজুরকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে গুরুতর জখম হাফিজুরের পিতা বাদী হয়ে গতকাল আদালতে এ মামলা করেছেন।