আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ২:২৬

যশোরে কোটি টাকার সম্পত্তি থাকার পরও পিতার মৃত্যুতে নিঃস্ব শিশু কৃষ্ণা

কোটি টাকার সম্পত্তি থাকার পরও পিতার মৃত্যুতে নিঃস্ব হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৬ বছরের কৃষ্ণা রায় ও তার মা মুক্তা রায়। বন্ধ হয়ে গেছে কৃষ্ণার লেখাপড়াও। তর চাচা, দাদী ও ফুফুরা সম্পত্তি থেকে বেদখল করায় তাদের এই করুণ পরিনতি হয়েছে। আজ দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংঘর সম্মেলনে কৃষ্ণার মা মুক্তা রায় এ অভিযোগ করেন।

মুক্তা রায়ের বাড়ি যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি গ্রামে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তার স্বামী প্রায় ১০ মাস আগে মারা যান। তাদের কৃষ্ণা রায় নামে ৬ বছর বয়সি একটি সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর সময় তার স্বামী মিন্টু রায় শহরের আর এন রোডে মেসার্স ভাই ভাই অটো নামে একটি পার্টসের দোকান, দুটো বাড়ী ও মালামালসহ চারটি গোডাউন রেখে যান। তার স্বামীর মৃত্যুর পর তার দেবর পিন্টু রায়, শাশুড়ি ও ননদরা তার ও তার সন্তানের দেখাশোনা করা বা খরচ দেয়া বন্ধ করে দেয়। এমনকি ব্যবসার হিসাব নিকাশও দেয় না। এ অবস্থায় গত ৭ ডিসেম্বর তিনি দোকানে হিসাব নিতে গেলে পিন্টু রায় তাকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে দোকানে তালা দিয়ে দেয়। এরপর পিন্টু রায় ও তার সহযোগিরা মুক্তা রায়ের বসত বাড়িতেও তালা লাগিয়ে দেয়। বাড়িতে ঢুকতে না পেরে শিশু সন্তান নিয়ে সেদিন তাদের সারারাত খোলা আকাশের নিচে কাটাতে হয়। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় বর্তমানে তিনি শিশু সন্তান নিয়ে দুর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের আশ্রয়ে রয়েছেন। সম্পত্তি থেকে বেদখল করতে এখন তাকে কন্যাসন্তানসহ হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, তার মেয়ে কৃষ্ণা প্রথম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো। বাবার মৃত্যুর পর আর্থিক অনটনের কারণে তার পড়াশোনাটাও বন্ধ হয়ে গেছে। তার ভরণপোষণের টাকা চাইলেও সেটাও দিচ্ছে না। ফলে শিশু সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি। সম্পক্তির ন্যয্য অংশ পেতে মুক্তা রায় থানায় অভিযোগ দিল কোন প্রতিকার পাননি।

স্থানীয়ভাবে এবং হিন্দু পরিষদের নেতাদের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করলেও তার দেবর, শাশুড়ি ও ননদরা কারো কথা মানছেন না। উপরন্ত সন্ত্রাসী দিয়ে প্রতিনিয়ত কন্যাসহ তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এজন্য তিনি তার নাবালক কন্যা কৃষ্ণের ভবিষ্যত রক্ষায় পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ সকলের সহায়তা কামনা করেন। #

আরো সংবাদ