রোববার গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা যশোর জেলা বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এসময় কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করা হয় এবং কয়েকটি বাড়ির সামনে যেয়ে গালিগালাজ ও হুমকি দেয়া হয় বলে দলের নেতারা অভিযোগ করেছেন। দু’টি কার ও ১০ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেলে করে ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী ধারাবাহিক এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। এসব হামলার ব্যাপারে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, রোববার রাত একটা ১৫ মিনিটে সন্ত্রাসীরা তার উপশহরের বাড়িতে হামলা চালায়। এদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হবে। সন্ত্রাসীরা তার বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা-জানালা ভাংচুর করে। এতে তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হামলার খবরে আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা হুংকার দিয়ে চল যায়। তিনি জানান, এর পর সন্ত্রাসীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের ধর্মতলার মোড় ও সদস্য গোলাম রেজা দুলুর মহিলা কলেজের সামনের বাড়িতে চড়াও হয়। এ দু’টি বাড়িতেও ব্যাপক ভাংচুর হয়েছে বলে তিনি জানান। সন্ত্রাসীরা ওই রাতেই হামলা চালায় সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলাম ও দলের জেলা আহ্ববায়ক অধ্যাপক নার্গিস ইসলামের ঘোপের বাড়ি, জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর হাজী আনিসুর রহমান মুকুলের চাঁচড়া রায়পাড়ার বাড়ি এবং নগর বিএনপির নাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চুর রোডের বাড়িতে। সন্ত্রাসীরা এসব বাড়িতে যেয়ে নানা রকমের হুমকি এবং গালিগালাজ করে চলে যায়। অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু অভিযোগ করেন সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে আধাঘণ্টা তান্ডব চালায়। এসময় তিনি সাহায্য চেয়ে পুলিশের কাছে ফোনও দিয়েছিলেন। কিন্তু, রোববার দুপুর একটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পুলিশ তার বাড়িতে যান নি বলে তিনি জানিয়েছেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম জানান, রাত দু’টোর দিকে একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা গেটে ধাক্কাধাক্কি করে ও তালা ভাঙার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে গালি গালাজ ও হুমকি দিয়ে ফিরে যায় তারা। বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর রোববার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানান তিনি।কী কারণে এই হামলা হতে পারে বলে মনে করেন জানতে চাইলে নার্গিস বেগম বলেন, ‘হামলাকারীরা আমাদের বলেনি কী কারণে হামলা। আমরা বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে জানিয়েছি। দলীয় ফোরামেও আলোচনা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কী করা যায়’।