স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের চৌগাছা থানার এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) তিন কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। অন্য একটি সূত্র অবশ্য বলছে, উদ্ধার গাঁজার পরিমাণ দুই কেজি।
সোমবার কেশবপুরে গ্রেফতার হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে থানায় মামলায় হয়।
আজ মঙ্গলবার যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে একদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
এছাড়া এ ঘটনায় আটক পুলিশ কর্মকর্তার সহযোগী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
সোমবার কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর ক্যাম্প পুলিশ স্থানীয় পালপাড়া এলাকা থেকে এসআই হাসানুজ্জামান নামে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও তার সহযোগী নাজমুল ইসলামকে আটক করে। এসময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তাদের আরেএক সহযোগী।
যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ আশরাফ হোসেন গ্রেফতার ও রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার এসআই হাসানুজ্জামান সাতক্ষীরার কলারোয়ার উপজেলার সিঙ্গা এলাকার মৃত মোফাজ্জেল সরকারের ছেলে এবং তার সহযোগী নাজমুল ইসলাম যশোরের কেশবপুর উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ আশরাফ হোসেন জানান, সোমবার বিকেলে ভাল্লুকঘর ক্যাম্প পুলিশ পালপাড়া মোড়ে দুটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। মোটরসাইকেলে চৌগাছা থানার এসআই হাসানুজ্জামান ও তার দুই সহযোগী ছিলেন। ওই সময় একজন দৌঁড়ে পালিয়ে যান। তবে হাসানুজ্জামান ও নাজমুল হোসেন নামে অপর এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গতকালই কেশবপুর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে তিনজনের নামে মামলা করা হয় বলে জানান এসপি।
আদালত সূত্র জানায়, গ্রেফতার এসআই হাসানুজ্জামান ও তার সহযোগী নাজমুল হোসেনকে আজ দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। নাজমুল দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তবে এসআই হাসানুজ্জামানকে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কেশবপুর থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘যশোর পুলিশ অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। অপরাধ করলে পুলিশ সদস্যরাও ছাড় পাবে না। তাকে বা তাদের আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।’
এদিকে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, এসআই হাসানুজ্জামানের পালিয়ে যাওয়া সহযোগীর নাম শহিদ। তিনি মণিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা এলাকার মশিয়ার রহমানের ছেলে।
সূত্র আরো জানায়, গাঁজাসহ গ্রেফতারের সময় এসআই হাসানুজ্জামান পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিলেন। তার কাছে পুলিশ বাহিনীর অস্ত্রও ছিল।
এই বিষয়ে আরো জানার জন্য বার বার যোগাযোগ করা হলেও কেশবপুর ও চৌগাছা থানার ওসি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার বিপ্লব রায় বলেন, ‘গতকাল সকালে এসআই হাসানুজ্জামান বিশেষ কোনো কাজে যশোর গিয়েছিলেন। এর বেশি কিছু আমি জানি না।’